অপু

নমস্কার,,,,

(আমি একটা নতুন ফিল্ম কাহিনি লিখছি,আমার এই কাহিনিটি বাস্তবের সাথে কোনো মিল নাই, সম্পন্নই কাল্পনিক)

(মানুষ,যাকে আমরা পৃথিবীর �

্রেষ্ঠ জীব মনে করে থাকি বা মানি,মানুষ মারা গেলে সুনেছি নাকি আত্মার মৃত্যু হয় না,এই যে মানুষটা এসে তার ইচ্ছে গুলোকে সর্ব আন্নে পূর্ণ করার আগেই মারা যায়,তার আত্মা কখনো জর্গে যেতে পারে না,তার �

েষ ইচ্ছে পূরণ না করা পর্যন্ত, যখনই তার ইচ্ছে পূরণ হবে, সে এই পৃথিবী ছেঠে সর্গে যায়, আর তার সর্গে না যাওয়া পর্যন্ত তার ইচ্ছে পূরণ করার চেষ্টা করতে থাকে সে যে ভাবেই হোক। আমার এই কাহিনিটি এমনই একটি কাহিনি যার প্রতিছবি ঠিক এরকমটাই,তাহলে �

ুরি করি।)

(একটা মেয়ে নাম তার অপু, তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে, খুব আদরের। মা বাবার ইচ্ছে ছিলো তার মেয়ে দে�

ের নম্বর অন আর্টিস্ট হবে,প্রায়ই সে তার লক্ষে পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু দুঃষ্টু লোকের কারনে তার ইচ্ছেটা আর ব্যাস্তবে আবির্ভাব হলো না,তাই এই কাহিনিটির নাম দিয়েছি -অপু)

�

র্টঃ১,স্থান কবোর স্থান, সময় রাত, চরিত্রে তিনজন, (একটা ছেলে দুইটা মেয়ে)

(ভিডিও �

র্ট এবং ভয়েস �

র্ট -অর্থাৎ মুখেও বলতে হবে ও ভিডিও চলবে)

(তিন বন্ধু রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে, তাদের মনে হচ্ছে কিছু সময় আগে তারা কিছু একটা দেখেছে যা তাদের জীবনে আজ পর্যন্ত দেখিনি,একটা ছেলে ও দুইটা মেয়ে, তারা ভয়ে খুব ঘামছে রাতে দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে, আকা�

ে বিদুৎ চমকাচ্ছে, তুফান উঠেছে, তারা চিতকার করতে করতে আসছে,আর রাস্তার পাসে যত গুলো বাড়ি আছে তারা গিয়ে গিয়ে দরজাই থাবাতে লাগছে কিন্তু এই হ্যাতো রাতে আকা�

ে মেঘ ও বর্ষা হচ্ছে তাই কেউ দরজা খুলছে না,এদিকে তাদের তিন জনকে দেখে মনে হচ্ছে তাদের কেউ পিছু করছে,মনে হচ্ছে তাদের কেউ ধরার চেষ্টা করছে,যখন তারা ঘরের দরজা থাবাতে লাগে আর যে রাস্তা দিয়ে এসেছিল সেই দিক �

ুধু তাকাতে লাগে, তখন তারা একটা ছায়া দেখতে পাই হাতে কুরাল মাথায় লম্বা চুল,ধিরে ধিরে কাছে আসছে,এই দেখে তারা আবার দৌড়াতে লাগে, বর্ষা হচ্ছে রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি গোড়া যাচ্ছে কেউ তাদের সাহায্য করছে না,এদিকে সেই ছায়াটা তাদের পিছু করেই যাচ্ছে, তারা দৌড়াতে দৌড়াতে পৌঁছে গেলো কবোর স্থানে, কবোর স্থানে ঢোকা মাত্রই সব কিছু কোমন যেনো থেমে গেলো,ঝড়,বৃষ্টি বিদুৎ চমকানো সব থেমে গেলো, তারা বুঝতেই পারিনি যে কবোর স্থানে পৌঁছে গিয়েছে, হুট করে তিন জনের মধ্যে থেকে একটা মেয়ে কাদছে কেদে বলছে, মেয়েটার নাম লিজা)

লিজাঃ আমি বলেছিলাম ওখানে যাস না,আমার কথা তোরা �

ুনলি না,আজ আমরা কেউ বাজবো না,সবাই মারা যাবো,

( তখন একটা ছেলে বলছে, ছেলেটার নাম অপু,)

অপুঃ আমি থাকতে তোদের কিছু হতে দিবো না,

( এই সব বলছে আর তৃতীয় যে মেয়েটা ভয়ে কাপছে আর পিছনের দিকে যাচ্ছে ধিরে ধিরে যাওয়ার পর পিছনে কিছুতে একটা ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেলো,এবং হাত দিয়ে দেখে একটা কবোর,এবং সাথে সাথে তারা সবাই চিতকার করতে থাকে,যে মেয়েটা পড়ে গিয়েছিলো নাম তার সুপ্রিয়া- সবাই তাকে দিদি বলে ডাকত,যখন সবাই চিতকার করা �

ুরু করে দিলো ঠিক আগের মত সব �

ুরু হয়ে গেলো ঝড়,বৃষ্টি, বিদুৎ চমকানো, হুট করে আবার থেমে গেলো, সব থেকে বে�

ি ভয় পাচ্ছে সুপ্রিয়া দিদি, সব কিছু থমকে যাওয়া মাত্রই কিসের একটা গন্ধ এবং উটকাট �

ব্দ হচ্ছে, তিন বন্ধু এদিক ওদিক ছুটতে লাগে, তারা দেখতে পেলো কবর স্থানের গেট সুপ্রিয়া বলছে)

সুপ্রিয়াঃ ওই, ওই,যে গেট,গেট,চল দৌড়া,

(তখন এই সুপ্রিয়া আগে দৌড় দেয় ও পিছনে অপু,তারা দৌড়ে কবোরের গেট পার হয়ে যায়ে দেখে লিজা দাড়িয়ে আছে সেইখানেই ,আর লিজার পিছনে সেই ছায়াটা ক্রম�

কাছে চলে আসছে,আর গেটের বাইরে থেকে দুইজন চিতকার করে বলছে)

অপুঃ লিজা দৌড়া লিজা,,,,

সুপ্রিয়াঃ লিজা তাড়াতাড়ি লিজা তোর পিছনে লিজা দৌড়া,

(লিজা তাদের দিকে তাকিয়ে কাদছে আর দাড়িয়ে আছে, লিজা কিন্তু আর দৌড়াচ্ছে না,প্রায় এসে গেছে সেই কালা ছায়া কুড়াল হাতে, দুই বন্ধু চিতকার করেই যাচ্ছে, কিন্তু লিজা আর দৌড়াচ্ছে না,তখন দূর থেকে তারা দুই বন্ধু দেখতে পাই লিজার চোক দিয়ে রক্ত পড়ছে কান দিয়ে রক্ত পড়ছে,লিজার কাছে যাওয়ার জন্য সুপ্রিয়া ছোটাছুটি করছে কিন্তু অপু তাকে ধরে রেখেছে, এদিকে লিজা তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে কাদছে,লিজার একটা হাত এমনি এমনি খোসে পড়ে গেলো, �

রীরের প্রত্যেকটা অংগগুলো খোসে খোসে পড়ে গোলো, আর দুই বন্ধু আর একটার মৃত্যু নিজ চোকে দেখে �

ুধু কাদতে থাকে)

কিছু দিন আগে,,,,

�

র্টঃ২,স্থান সারদা আর্টস কলেজ, সময় দুপুর,চরিত্রে তিনজন,( ইকরা,লিজা,সন্দ্বীপ,)

(কলেজের রুমে তিন বন্ধু মিলে তারা ছবি আকছে, সন্দ্বীপ, লিজা,এবং ইকরা,ইকরা ছিলো এদের ভিতর বে�

ি দুঃষ্টু এবং হু�

িয়ার, সন্দ্বীপ একটা মানুষ আকছে এবং লিজা গ্রাম আকছে ও ইকরা কবি গুরু রবীন্দ্রনাথকে আকছে,এখন ইকরা বলছে)

ইকরাঃ কি রে তোদের এখনো আকা �

েষ হলো না?

সন্দ্বীপঃ লিজার এখনো �

েষই হলো না,

ইকরাঃ তুই তো এখনো �

ুরুই করিস নাই,কি করছিস তোরা,তোদের না কথা দেওয়া ছিলো বিকালে ঘুরতে যাবো!

(হুট করে ইকরার ফোনে একটা ফোন আসে বাসা থেকে মা ফোন করছে)

ফোনঃ ইকরা?

ইকরাঃ হ্যাঁ মা বলো?

ফোনঃ বলছি আজ বিকালে তুই বাসায় আসতে পারবি?

ইকরাঃ না মা, পড়া�

োনার অনেক চাপ,দুুদিন পরে আসি,,

ফোনঃ তোর বাবা খুব রাগ করবে,

ইকরাঃ বাদ দেও তো!

(এই বলে ইকরা ফোন কেটে দিলো,তারপর তারা তিন বন্ধু কলেজ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে , ইকরা আর লিজা চলে যায় তাদের হস্টেলে এবং সন্দ্বীপ চলে আসে তার হস্টেলে)

�

র্টঃ৩,স্থান ভাড়ার বাড়ি, সময় বিকাল,চরিত্রে তিনজন,( সন্দ্বীপ, অপু, ঘর মালিক,)

(যখন সন্দ্বীপ যে বাড়িতে ভাড়ায় থাকত সেই বাড়ি আসে,এসে দেখে অপু এখনো �

ুয়ে আছে- এ হলো অপু, সন্দ্বীপের বন্ধু এক সাথে এক রুমে এক ক্লাসে এক কলেজে পড়েন, যখন সন্দ্বীপ এসে দেখে এখনো অপু �

ুয়ে আছে তখন কাদ থেকে সন্দ্বীপ ব্যাগ নামিয়ে বলছে)

সন্দ্বীপঃ আরে অলোস এখনো ঘুম থেকে উঠলি না,ওঠ তাড়াতাড়ি ওঠ।

(এই বলে সন্দ্বীপ অপুকে মারছে আর টেনে উঠাচ্ছে, আর অপু বলছে)

অপুঃ আরে দাড়া না,আর একটু ঘুমায়, দয়া কর আমাকে,

সন্দ্বীপঃ কোনো কথা �

ুনতে চায় না আগে ওঠ,�

ালা উজবুক।

(অনেক কষ্টে গালি গালা দিয়ে টেনে উঠালো অপুকে,কিছু সময় পর ঘর মালিক এসে বলছে,তখন এই মাত্র ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সেজে গুজে দুই বন্ধু)

ঘর মালিকঃ কি ব্যাপার মানি, চাদ, পুরো চয়মাসের ভাড়াটা কে দিবে আমার বাপ?

সন্দ্বীপঃ না,না,আংকেল দুই একের মধ্যেই আপনার টাকাটা দিয়ে দিবো।

ঘর মালিকঃ না না,আমি আর কোনো কথা �

ুনতে চায় না, যদি দুই দিনের ভিতর আমার পুরো টাকা টা না দেও তাহলে এ ঘর ছেড়ে দিবে,

অপুঃ তাহলে আগের টাকা গুলা?

ঘর মালিকঃ মনে করবে জোয়ারের জলে ভেসে গেছে হুম.

(এই বলে ঘর মালিক চলে যায়,আর তারা দুই বন্ধু ঘরের দরজার সামনে দাড়িয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেলো,)

দুইদিন পর,,,,,,,,

�

র্টঃ৪,স্থান হাই রোড,সময় দুপুর,চরিত্রে চারজন,( সন্দ্বীপ,অপু,লিজা,ইকরা,)

(টোল টুপলা নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে আছে,দুই বন্ধু গাড়ি আসার অপেক্ষা করছে,অপু বলছে)

অপুঃ আচ্ছা সন্দ্বীপ চল জিলাদের ওখানে,

সন্দ্বীপঃ আরে গাধা ওটা মহিলা হস্টেল, ওখানে ছেলেদের এন্ট্রি হয় না।

(এই বলে হুট করে সন্দ্বীপের ফোনে একটা ফোন আসে)

সন্দ্বীপঃ হ্যালো?

ফোনঃ আচ্ছা সন্দ্বীপ তোরা কোথায়?

সন্দ্বীপঃ কেনো কি দরকার?

ফোনঃ আরে পাগল বল না?

সন্দ্বীপঃ অনেক কষ্টে আছি রে,ঘর মালিক আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে,

কিছু সময় পর,,,,,,

(চার বন্ধু রোডের পাসে বসে হাসা হাসি করছে লিজা আর ইকরা,ওদিকে অপু সন্দ্বীপ তাদের হাসি দেখে খুব রেগে আছে)

ইকরাঃ হা,হা,হা,হা, চয় মাসের ভাড়া বাকি,তোরা একটা যা তা।

লিজাঃ খুব খুব ভালো হয়েছে,

সন্দ্বীপঃ এইজন্য তোদের বলতে চেয়েছিলাম না,দেখছিস অপু আমাদের ঠাট্টা করছে,

অপুঃ তাহলে ইকরা তোদের টোলটুপলা এখানে কেনো?

লিজাঃ এব, মানে,,,,

ইকরাঃ তোদের বলতে যাবো কেনো?

অপুঃ বুঝতে পেরেছি আমাদের মত একই অবস্থা তোদের,

লিজাঃ হ্যাঁ তাই,

অপু,সন্দ্বীপঃ হা,হা,হা,হা,।

(এখন এই অবস্থায় চার বন্ধু কোথায়,যাবে ভেবে পাচ্ছে না,হাতে টাকাও নাই,তাই তারা কিছু দিনের জন্য বাড়ি চলে গেলো,)

কিছু দিন পর,,,,,

�

র্টঃ৫,স্থান ইকরাদের বাড়ি,সময় রাত, চরিত্রে তিনজন,(ইকরা,ইকরার মা,ও বাবা,)

(ইকরা তার বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে, মেয়েকে নিয়ে অনেক সপ্ন ছিলো তার মা বাবার, একদিন মেয়ে অনেক বড় হবে, এবং মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে ইকরা,সেই সপ্ন নিয়েই সারদা আর্টস কলেজে পড়ে,রাতে এক সাথে মা,বাবা,ও ইকরা খাবার খেতে লাগে,তখন ইকরার মা বলছে)

মাঃ হ্যাঁ রে মা, কলেজ যাবি কবে?

Rate this script:0.0 / 0 votes