অপু Page #2

ইকারঃ কেনো মা?

বাবাঃ তোকে দুই একের মধ্যে আমার বন্ধুর ছেলে দেখতে আসবে,

ইকরাঃ না আমি আমি এখন বিয়ে করতে চায় না,আমি পড়তে চায়,

(এই বলে খাবার ছেড়ে রেগে গিয়ে ইকরা তার রুমে চলে গেল)

�

র্টঃ৬,স্থান লিজাদের বাড়ি,সময় সকাল,চরিত্রে চারজন,(লিজা,মা,বাবা,লিজার ছোট্ট ভাই ,)

(লিজা বাড়িতে জামা কাপড় গোজ গাজ করছে,তার বন্ধু সুপ্রিয়া নাকি একটা ঘর পেয়েছে তাই সেখানে যাওয়ার জন্য রউনা হবে,লিজারা দুই ভাই বোন,লিজা বড়,মা বাবা,তার ভাই- সবাই বারন করছে কলেজে যেতে,বাড়ি থেকেই পড়তে বলছে, কিন্তু লিজা তাতে রাজি নয়, এদিকে সুপ্রিয়া ফোন পর ফোন করেই চলেছে, আর বাড়ির সবাই লিজাকে বকছে)

মাঃ লিজা আমার কথা �

োন তুই বাড়ি থেকে পড়া �

োনা কর!

বাবাঃ তা ছাড়া তোকে তো আমরা সাপোর্ট করছি,

ভাইঃ মা বাবার কথা �

ুনতে হয়,�

োন!

লিজাঃ �

োন ভাই আমাকে জ্ঞান দিতে আসিস না,তা ছাড়া আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না,পড়তে যাচ্ছি,

(আর এদিকে সুপ্রিয়া ফোন করেই চলেছে কেউ ফোন উঠাচ্ছে না,হুট করে ফোনটা রিসিভ করে লিজার ভাই)

ভাইঃ হ্যাঁ সুপ্রিয়া দি- লিজা দিদি রুম ভাড়া করে পড়বে না,বাড়ি থেকেই পড়বে,তোমরা চলে যাও,

(এদিকে লিজা তার ভাইয়ের প্রতি রেগে গিয়ে ফোনটা কেড়ে নিয়ে ঠাস করে থাপ্পড় মারল আর বলছে)

লিজাঃ তোর হ্যাতো বড় সাহস তুই আমার উপর কথা বলিস,

�

র্টঃ৭,স্থান সন্দ্বীপদের বাড়ি,সময় রাত চরিত্রে চারজন,( সন্দ্বীপ, সন্দ্বীপের মা,বাবা, অপু,)

(সন্দ্বীপদের বাড়িতে থাকে অপু, আজ থেকে দ�

বছর ধরে,কারন অপুর মা, বাবা,কেউ নাই,দ�

বছর আগে সন্দ্বীপের সাথে বন্ধুত্ব হবার পর থেকেই সন্দ্বীপ অপুকে তাদের বাড়িতে রাখে,সব খরচ সন্দ্বীপ তার খরচ থেকে দেয়,সন্দ্বীপের মা বাবাও অপুকে খুব ভালোবাসে,তারা এখনই রউনা দিবে লিজা ও ইকরাদের বাড়ি তাদের পিকাপ করতে,সন্দ্বীপের মা বলছে)

মাঃ এই নে তোদের ব্যাগ,সাবধানে থাকবি,কারুর সাথে মারামারি করবি না,বলে দিলাম,যদি এদিক ওদিক �

ুনি তাহলে পড়া�

োনা বাদ,সোজা বাবার সাথে ব্যাবসা,

সন্দ্বীপঃ তাহলে চললাম মা,

বাবাঃ হ্যাতো রাতে যাওয়া আমার মতে ঠিক হচ্ছে না,সকলে গেলে ভালো হতো,

অপুঃ আরে আংকেল নো চিন্তা, আমি থাকতে সন্দ্বীপের কিছু হয় নাকি,চলি আংকেল।

বাবাঃ পাগলের দল,

�

র্টঃ৮,স্থান লিজাদের বাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে চয়জন,(লিজা,তার মা,বাবা,ভাই,সন্দ্বীপ, অপু)

(সবাই এক যায়গা বসে খুব চিন্তায় পড়ে গেলো,কে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না,হুট করে ছোটো ভাই বলছে)

ভাইঃ অপু দা,আমার কিন্তু মোটেও ভালো লাগল না এক সাথে তোমরা একই বাসায় থাকা,

লিজাঃ তুই থাম!

বাবাঃ হ্যাঁ বাবা আমার কেমন মন চাইছেনা, একই বাসায় দুই ছেলে দুই মেয়ে -মানুষ কি বলবে!

অপুঃ আরে আংকেল, মানুষ কি ভাবছে,কি বলছে এগুলা থেলে দূরে থাকুন, মানুষের কাজই তো বলার অনন্যের কাজে কাটি করা,এ ভাবলে চলবে,তাছাড়া আমরা বন্ধু বান্ধব হলেও একে ওপরকে ভাই বোনেরই মত মনে করি,বন্ধু বান্ধব তো ভাই বোনের মত,আমাকে বি�

্বাস করতে পারেন,

(এ ভাবে অনেক ডায়লগ দেওয়ার পর অপুর উপর বি�

্বাস রেখে লিজার বাবা মা রাজি হয়ে গেলো)

�

র্টঃ৯,স্থান রাস্তার মধ্যে, সময় রাত,চরিত্রে চারজন, (লিজা,অপু,সন্দ্বীপ,ইকরা)

(চার বন্ধু মজা করছে গাড়ির মধ্যে, গাড়ি চলছে, তারপর হুট করে সন্দ্বীপের ফোনে ফোন এলো)

সন্দ্বীপঃ হ্যালো সুপ্রিয়া দি তুমি কোথায়? আমরা তো রউনা হয়েছি,

ফোনঃ আমার বাড়ি থেকে যেতে দিচ্ছে না রে,,

�

র্টঃ১০,স্থান সুপ্রিয়াদের বাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে সাতজন,(সুপ্রিয়া, সুপ্রিয়ার মা,বাবা,লিজা,সন্দ্বীপ, অপু,ইকরা)

(সবাই খুব চিন্তার মধ্যে আছে,সুপ্রিয়া কি বলবে এখন সে নিজেই বুঝতে পারছে না,সবাই সুপ্রিয়াদের ছাদের উপর দাড়িয়ে আছে)

ইকরাঃ দিদি তুমি যদি এখন এই করো,এখন আমাদের বাড়িতে ও যাওয়া যাবে না,অনেক বিভাদ করে বাসার সবাইকে রাজি বানিয়ে এসেছি,

সুপ্রিয়াঃ আমি কি করব তোরা বল,আমার বাবা তো প্রথমে যেতে দিতে চেয়েছিলেন, যখন জানতে পারে যে একই বাসায় আরো দুজন ছেলে থালবে তখন থেকে বাবা রাজি হলো না,

লিজাঃ এক সেকেন্ড আমাদের বাবা মাদের রাজি করেছে অপু,তাহলে এটাও অপু পারবে,

অপুঃ ওরে বাবা,আমি,

সন্দ্বীপঃ হ্যাঁ তুই,দেখিয়ে দে তোর ক্যালমা!

অপুঃ আমি সুপ্রিয়া দির বাবাকে মানে আংকেলকে খুব ভয় পাই,

(সবাই অনেক অনুরোধ ও জোর করবার পর সুপ্রিয়ার বাবার কাছে গেলো অপু,আর এদিকে চার বন্ধু ছাদে দাড়িয়ে খুব চিন্তায় পড়ে আছে,কিছু সময় পর অপু তার মুখটা কালা করে নিয়ে আসছে, মুখ দেখে মনে হচ্ছে সুপ্রিয়ার বাবা খুব বকেছে অপুকে)

সন্দ্বীপঃ খুব বকেছে তাই না,

ইকরাঃ আসলে তোকে জোর করা আমাদের উচিত হয়নি,

(তখন অপু মাথা উঁচু করে হেসে চিতকার করে বলছে)

অপুঃ আংকেল রাজি হয়ে গেছে,

(এই বলার সাথে সাথে সবাই মিলে অপুকে মারতে লাগে)

�

র্টঃ১১,স্থান রাস্তার মধ্যে, সময় বে�

রাত,চরিত্রে চয়জন,(অপু,লিজা,সন্দ্বীপ,গোসা, ইকরা,সুপ্রিয়া)

(গাড়ি চালাচ্ছে সন্দ্বীপ, সবাই খুব মজা করতে করতে যাচ্ছে, হুট করে তাদের গাড়িটা বন্ধু হয়ে গেলো, তখন গাড়িটা ভালো করবার জন্য অপু ও সন্দ্বীপ গাড়ি থেকে নেমে ঠিক করছে,গাড়িটা ভালো হয়ে গেলো,যখন তারা দুইজন আবার গাড়ি চালাচ্ছে আর সবাই মজা করতে করতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই সন্দ্বীপের গাড়ির সামনে একটা গোসায় ধাক্কা খাই, তাড়াতাড়ি সবাই গাড়ি থেকে নেমে গোসায়ের কাছে যায়ে দেখে সারা �

রীর রক্ত, তাড়াতাড়ি সবাই সেই গোসাই কে গাড়িতে বসিয়ে আবার গাড়ি চালাচ্ছে,)

ইকরাঃ বাবাজি আমরা বুঝতে পারিনি, আপনি হ্যাতো রাত্রে লাইট না নিয়ে চলছেন তাই আমরা বুঝতে পারিনি।

সুপ্রিয়াঃ এ দেখছিস না,বাবাজি কথা বলতে পারছে না,চল একে হাসপাতালে নিয়ে যায়,

( তখন তারা সেই গোসাইকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়ে আবার রউনা দিলো। গিয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে উঠলো, সুপ্রিয়া আর ইকরা যে ভাড়ার বাড়ি পছন্দ করেছিলো)

�

র্টঃ১২,স্থান নতুন ভাড়ার বাড়ি,সময় অনেক রাত,চরিত্রে পাচ জন,(সন্দ্বীপ, অপু,লিজা,সুপ্রিয়া,ইকরা,)

(তারা চলে এলো যেখানে সুপ্রিয়া আর ইকরা একটা ঘর ভাড়া করেছিলো, সেখানে অনেক বাড়ি, আসে পাসে সব বাড়ি আলো জলছে,কিন্তু ওই বাড়িটাই আলো জলছে না,বাইরে থেকে সব দেখতে পারছে)

ইকরাঃ সুপ্রিয়া দি আসে পা�

ে সব বাসায় আলো জলছে, ওই বাড়িটাই আলো জলছে না কেনো?

সন্দ্বীপঃ আরে পাগল ওই বাড়িটাই কেউ থাকে না, তার জন্য জলছে না,

(তার পর সবাই সেই বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে দাড়ালো,অন্ধকারে কিছু দেখতে পারছে না,তাই মোবাইলের আলো যালিয়েছে, দরজা খুলে ভিতরে গেলো, দরজা খোলা মাত্রই একটা ডিম ভেঙ্গে গেলো, সবাই একটু ভয়ে আলো দিয়ে দেখে একটা ডিম ভেঙ্গে গিয়েছে, তার পর ভিতরে গিয়ে দেখে, আপছা আপছা দেখা যাচ্ছে, দেওয়ালে একটা তরোয়ার,একটা মহি�

ের মাথা,একটা চাবুক,সব থেকে বড় কথা হ্যাতো সুন্দর একটা ফটো আকা আছে দেওয়ালে,যা দেখে পাচ বন্ধুর চোকে জল এসে গেলো,হ্যাতো সুন্দর একটা পেইন্টিং, তারপর তারা যার যার রুমে ঢুকে গেলো, ময়লা পরিস্কার করছে,হুট করে একটা ফোন এলো,সুপ্রিয়ার ফোনে)

সুপ্রিয়াঃ হ্যালো কে?

ফোনঃ আমি ঘর মালিক! তোমরা বললে যে তোমাদের আসতে একটু রাত হবে,তাই এখনো তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি,কোথায় তোমরা?

সুপ্রিয়াঃ কি বলছেন আপনি,আমরা তো অলরেডি রুমের ভিতর �

ুয়ে পড়েছি,বাড়ির নম্বর ১০৯!

ফোনঃ হ্যাঁ ১০৯,আমি দরজার সামনে অপেক্ষা করছি তা প্রায় ১ ঘন্টা, তাহলে তোমরা অন্য মহল্লায় ঢুকে গিয়েছো,

(এই বলার সাথে সাথে, তাড়াতাড়ি,রুম থেকে বেরিয়ে এলো সুপ্রিয়া,এবং চিতকার করতে লাগে,তখন সবাই বের হয়ে এলো,)

সন্দ্বীপঃ কি হয়েছে দিদি?

সুপ্রিয়াঃ আমরা ভূল বাড়িতে ঢুকে পড়েছি,

অপুঃ তুমিই তো বললে বাড়ির নম্বর ১০৯. এটাই তো,

সুপ্রিয়াঃ না কেবল মাত্র ঘর মালিক আমাকে ফোন করে বলছে, সে এখনো দরজার সামনে আমাদের জন্য দাড়িয়ে আছে,

ইকরাঃ ও মাই গড,

লিজাঃ আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলাম এটা কেমন বাড়ি,তাড়াতাড়ি চল,চল,আমাদের ব্যাগ নিয়ে চলে যায়,

(এই বলে যে যার যার ব্যাগ নিয়ে নিয়ে এলো,এবং দরজা খুজতে লাগে,যে রাস্তা দিয়ে এলো,অনেক সময় ধরে খোজার পর,হুট করে অন্ধকার ঘরে কারেন্ট চলে এলো,তার পর দরজা পেয়ে গেলো,সবাই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলো, যখন রাস্তায় এসে গাড়িতে উঠবে,তখন বাড়ির দেখে আলো লিবছে আর জোলছে,হুট করে ইকরা বলছে)

ইকরাঃ আমার ফোন রেখে আসছি রুমের ভিতর তোড়া দাড়া,

(এই বলে ভয়ে ভয়ে একা রুমের ভিতর ঢুকে গেলো ইকরা,ঘরে যাওয়া মাত্রই কারেন্ট আবার চলে গেলো,কিছু সময় পর ইকরা চিতকার করে উঠলো, এদিকে চিতকার �

ুনে সবাই ঘরের দরজার ওখানে যাওয়া মাত্রই কারেন্ট চলে এলো আর ইকরা বের হয়ে এলো, তারপর যখন সবাই গাড়িতে বসল তখন বাড়িটার উপর দিক তাকিয়ে দেখে যে একটা ধুঁয়া উড়ছে,আর যখন গাড়িটা স্টাড করল তখন একটা বাজে �

ব্দ হচ্ছে, হুট করে সুপ্রিয়া বলছে)

Rate this script:0.0 / 0 votes