Tha Real Father Page #13

দুইদিন পর....

�

র্টঃ৮৬,স্থান হাসপাতাল ও জেল,সময় দুপুর,চরিত্রে দুইজন, সহ কিছু গুনডা,(রনজিত কুমার,বীরপ্রতাপ)

(দুদিন পরে গুনডারা হাসপাতালে আবার আসে, বীরপ্রতাপ আবার ফোন করে জেল থেকে,তখন ফোনে রনজিতকে বীরপ্রতাপ বলছে)

বীরপ্রতাপঃ তাহলে �

োন তুই যদি এই ঔষধ না মিসেস তাহলে আমি এমন একটা ভাইরাস এলাকায় ছড়িয়ে দিবো এলাকার লোক সব এমনি মারা যাবে।

( এ ভাবে অনেক ভয় দেখিয়ে রনজিতকে রাজি বানায় তার পর রনজিত গোপোনে তেলের গোডাউনে গিয়ে ঔষধ  মিসানোর পর দেখে সব লোক মারা যাচ্ছে, তখনই জেলে দেখা করতে চলে যায়,বীরপ্রতাপের সাথে,)

দুইদিন পর.....

�

র্টঃ৮৭,স্থান জেল ও হাসপাতালের সামনে,সময় দুপুর,চরিত্রে দুইজন,সহ এলাকার লোক ও ডাক্তার, (রনজিত,বীরপ্রতাপ)

(এলাকার মহামারি হচ্ছে দেখে রনজিত মধুপুর হাসপাতালে গিয়ে দেখে সবাই মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে, তখন ডাক্তারের কাছে জানতে পারে রূদ্রনীলের তেলে নাকি এক জাতীয় ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে তার কারনে এই মহামারি,তখন রনজিত হাসপাতালের বাইরে গিয়ে ফোন করছে)

রনজিতঃ তুমি বলেছিলে যে �

ুধু অজ্ঞান হবে কেনো হ্যাতো লোক মারা গেলো,

বীরপ্রতাপঃ আমি কি করব বলো সব তো উপর ওলার খেল,আমাদের হাত নাইরে ভাই,আর একটা  কাজ করতে হবে তোর,

রনজিতঃ তোর কোনো কাজই আমি করব না,

বীরপ্রতাপঃ জানি, তোর কোনোতার ভয় নাই, কিন্তু তোর সাধের ভাঙ্গনা দের কি হবে রে, তুই কোর্টে রূদ্রনীলকে ভালো মত ফাসাবি না হলে,আমি জানি তোর ইচ্ছে বোনকে বড় উকিল করবি,সেটাকি পূর্ণ হবে,আমার তো মনে হয় না,

( এই ভাবে ভয় দেখিয়ে রূদ্রনীলকে ফাসালো)

বর্তমান........

�

র্টঃ৮৮,স্থান রনজিতের ঘর,সময় রাত,চরিত্রে তিনজন,সহ কিছু গুনডা,(রুদ্রনীল, বীরভদ্র, রনজিত)

( এই সব �

োনার পর তখন রূদ্রনীল রনজিতকে মাপ করে দিলো)

পরের দিন....

�

র্টঃ৮৯,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় সকাল,চরিত্রে চয়জন,(সুসমিতা,রূদ্রনীল,দুই ছেলে,বীরভদ্র,রনজিত,সহ এলাকার লোক)

(সকাল বেলা জমিদার বাড়ি এলাকার সবাইকে ডেকে বলে,মধুপুর এলাকার সবাই এসেছে জমিদার বাড়ি)

রূদ্রনীলঃ আমি রূদ্রনীল চৌধুরী ,আজ আমি যে অপরাধ করেছি তার কোনো খম হয় না,তা আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এই এলাকা ছেড়ে চলে যাবো আর আমার যত সম্পত্তি আছে সব এলাকার নামে বিলি করে দিবো,

( তখন এই কথা �

োনার পর পিছন থেকে রনজিত কাদতে থাকে এলাকার লোক ও কাদতে থাকে অনেক বাধা দেয় এলাকার লোক কিন্তু কোনো কথা না �

ুনে এই মধুপুর এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে রূদ্রনীল চৌধুরী সুসমিতা  ও তার ছেলেরা,সবাই মাথা নিচু করে এক এক করে রূদ্রনীল চৌধুরীর পায়ে চুমু দিতে লাগে, আর রূদ্রনীল কাদতে থাকে , এবার যখন বীরভদ্র চুমু দিতে এলো,তখন রূদ্রনীল বলছে)

রূদ্রনীলঃ বীরভদ্র নিজের খেয়াল রাখিস, মনে রাখিস কাউকে কখনো কষ্ট দিবে না,আর সাধার ভাবে বেচে থাকার চেষ্টা করিস,

(তখন বীরভদ্র কেদে দিলো,তখন রনজিত এলো চুমু দিতে, রূদ্রনীল রনজিতের ঘাড়ে হাত রেখে রূদ্রনীল বলছে)

রূদ্রনীলঃ তাহলে,,রনজিত বড় একটা কাজ দিবো তোকে পালন করিস, আমাদের এই মধুপুরের আর জমিদার বাড়ির খেয়াল রাখিস,চলি,

(এবং এলাকা ছেড়ে অনেক দূর চলে গেলো।)

�

র্টঃ৯০,স্থান মুম্বাই �

হরের ওলি গোলি,সময় বিকাল ও সন্ধ্যা, চরিত্রে পাচজন,সহ �

হর ভরা লোক আর গাড়ি গুড়া,(রূদ্রনীল,সুসমিতা,চাদ আর তারা,একটা বুড়ো)

( মুম্বাই �

হর কাউকে চেনা না,জানা না,ঘুরতে ঘুরতে, সন্ধ্যা লেগে যায়, তখন ছেলেদের বয়স পাচ/চয়, আর সুসমিতা বলছে)

সুসমিতাঃ আমি আর পারছি না,খুব খুদা লেগেছে,

রূদ্রনীলঃ দাড়াও আমি একটা ব্যাবস্থা করছি,

( তখন  দুই ছেলে আর সুসমিতা একটা রাস্তার কোলে গাছের নিচে বসে আছে,আর ওদিকে কাজের সন্ধানে রূদ্রনীল, কিছু সময় পর দেখে একটা বুড়ো ঠেলা গাড়ি চালাচ্ছে তো সেই বুড়োটার খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন রূদ্রনীল দৌড়ে গিয়ে তাকে সাহায্য করছে)

রূদ্রনীলঃ এই বয়সে কি আপনি এসব পারেন,

বুড়োঃ কি করব বাবা পেট তো চালাতে হবে,

রূদ্রনীলঃ আপনার ছেলে মেয়ে নাই?

বুড়োঃ হুম,, না থাকার মত থেকেও নাই,তা বাবা তোমার বাসা কোথায়?

রূদ্রনীলঃ আমার বাসা মুধুপু,,,,মুধুগড়,এখানে নতুন আসছি কোনো কাজ পাওয়া যাবে,

বুড়োঃ বাবু আপনাকে তো দেখে মনে হচ্ছে আপনি বড় ঘরের  ছেলে,এখানে দু টাকা আয় করতে অনেক কষ্ট করতে হয়, পাওয়া অনেক মুসকিল,

( ঠেলা গাড়ি ঠেলতে  ঠেলতে দুইজনে অনেক কথা বলল,তারপর ঠেলা গাড়ি মালিকের বাড়ি পৌঁছে গেলো, যখন রূদ্রনীল ঠেলা গাড়ি ঠেলে পিছন দিয়ে চলে যাচ্ছে, তখন পিছন থেকে বুড়োটা রূদ্রনীলকে ডাক দিল আর বলল)

বুড়োঃ দাড়াও বাবা, মালিক আমাকে এক�

ত টাকা দিয়েছে তুমি পঞ্চাস টাকা রাখো,

( অনেক বার না করবার পরেও টাকাটা দিলো তারপর সেই টাকা নিয়ে দৌড়ে যায় ছেলে বৌয়ের কাছে তাদের পেট ভরাতে গিয়ে নিজেরই খাওয়া হলো না,সেই রাতে রাস্তায় রাত কাটে জমিদার রূদ্রনীল চৌধুরীর,)

�

র্টঃ৯১,স্থান �

হরের ওলি গোলি,সময় বিকাল,পাচজন,সহ �

হর ভরা লোক-গাড়ি গুড়া,(রূদ্রনীল, সুসমিতা,দুই ছেলে ,সেই বুড়ো)

(পরের দিন রূদ্রনীল তার ছেলে বৌয়ের  হাত ধরে কাজে সন্ধ্যানে বেরোই �

হরে, ঠিক তখনই সেই একই বুড়োর সাথে দেখা হয়,)

�

র্টঃ৯২,স্থান বুড়োদের  ছোট্ট বাড়ি,সময়,বিকাল,চরিত্রে চয়জন,(বুড়ো আর বুড়োর স্ত্রী, রুদ্রনীল, সুসমিতা,দুই ছেলে)

(তখন সে বুড়ো রূদ্রনীলদের তার বাড়ি নিয়ে যায়,বুড়োর একটা বৌ ছিলো, )

পরের দিন সকাল....

�

র্টঃ৯২স্থান -মুম্বাই �

হরের,ওলি গোলি,রাস্তা ঘাট,গাড়ি,গুড়া,�

হরের লোক,সময়,সকাল,বিকাল,সন্ধ্যা, রাত,চরিত্রে দুইজন,সহ �

হর ভরা লোক,(রূদ্রনীল,বুড়ো)

(�

ুধু ভিডিও �

র্ট)

(তখন থেকে বুড়ো আর রূদ্রনীল কাজে বের হয়ে যেতে সকালে আর রাতে আসতো,দিন রাত �

ুধু কাজই করে যেতো এমন কোনো কাজ ছিলো রূদ্রনীল করতো না,অনন্যের গাড়ি ধোঁয়া, ম্যানহল পরিস্কার করা,গাড়ি সারা,ঠেলাগাড়ি চালানো,মুটে গিরি করা,বুড়ো আগে বাড়ি চলে আসতো কিন্তু রূদ্রনীল দেরি করে ফিরত ,)

কিছু দিন পর....

�

র্টঃ৯৩,স্থান বুড়োদের ঘরের ভিতর, সময় রাত,চরিত্রে দুইজন,(রূদ্রনীল,সুসমিতা)

(তারপর কিছু দিন পর ছেলেদের ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করায়,একদিন রাতে,�

ুয়ে আছে, তখন রূদ্রনীল কাছে আসার চেষ্টা করে সুসমিতা,তখন রূদ্রনীল বলে)

রূদ্রনীলঃ দেখো আমি তোমাকে স্ত্রী হিসাবে �

িকার করি,তবে আমার মন প্রাণ সব রুকমনিকে দিয়ে দিয়েছি,

সুসমিতাঃ তবে যে চাদ আর তারা আমাকে মা বলে জেনে আসছে।

রূদ্রনীলঃ তুমি ভূলে যেওনা ওই নাম কিন্তু রুকমনিরই দেওয়া,

( এ ভাবে অনেক কথা হলো রাতে,  তার পরের দিন একটা লোক রূদ্রনীলকে কালেক্টরের গাড়ির ড্রাইভার বানালো,তখন থেকে ওই বুড়োকে আর কষ্ট করা লাগে না,সবার দায়িত্ব এখন রূদ্রনীলের উপর,)

কিছু দিন পর.....

�

র্টঃ৯৪,স্থান বুড়োদের ছোট্ট বাড়ি , সময় দুপুর,চরিত্রে তিনজন,(সুসমিতা,তারা,চাদ,)

(একদিন স্কুল থেকে চাদ আর তারা বাড়ি ফিরে এসে, সুসমিতাকে বলছে,এক জায়গা বসে খাবার খেতে লাগে তখন বলছে)

চাদঃ মা, আমাদের এ নাম পছন্দ নয়!

তারাঃ স্কুলে আমাকে আর দাদাকে সবাই �

ুধু তামাসা করে,আমাদের এ নাম ভালো লাগে না,

( তখন এদের কথায় সুসমিতা খু�

ি হয় তখন সুসমিতা বলে)

সুসমিতাঃ কাল থেকে তোমাদের যদি এই নামে তামাসা করে তাহলে বলবে,কে বলছে আমাদের নাম চাদ আর তারা,বলবে আমাদের নাম অজয় আর সুজয়,

(ভিডিও �

র্ট ও ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ ভিডিওর সাথে সাথে মুখে ও বলতে হবে)

( তখন থেকে স্কুলেও বড় ছেলের নাম অজয় আর ছোট্ট ছেলের নাম সুজয়,ছেলেদের হ্যাতোটাই ভালো বাসা দিয়েছে তারা জানেই না তাদের জন্মদাত্রী মা রুকমনি, তারা জানে তাদের মা  সুসমিতা,এভাবে কাজ করতে করতে একটা গাড়ি নারামত করবার জন্য নিজেই একটা গ্যারেজ করে,সেখানে কিছু কমেডি কর্মচারী রাখে,তারা ভালো কাজ জানতো না,�

ুধু মার খেতো রূদ্রনীলের কাছে,ধিরে ধিরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রূদ্রনীল একটা গ্যারেজ  কিনে নেই মুম্বাই �

হরে,গ্যারেজের নাম রাখে RR গ্যারেজ, তারপর  নিজেই পুরনো গাড়ি কিনে সেই গাড়িকে ভালো বানিয়ে অনেক দামে বিক্রি করে এভাবে গাড়ি কিনা বেচা করতে করতে নিজে একটা গার্মেন্টস তৈরি করে সেখানে এক হাজার লোক কাজ করে, গার্মেন্টসের না রাখে RR গার্মেন্টস,কিছুদিন পরে সেই বুড়ো বুড়ি মারা যা যায়,তাই রূদ্রনীল ও তার পরিবারের সবাই চলে আসে কোলকাতা,এখানে এসে  RR কলকাতা ভার্সিটি, RR বৃদ্ধা�

্রম,বিদে�

ি সপ্টার কম্পানির সাথে একতা RR কম্পানি,অনেক কষ্ট করে এই পজি�

নে এসেছে, ধিরে ধিরে সুসমিতার সাথে সংঘমে লিপ্ত হয়ে তাদের একটা মেয়ে হয়,অজয় আর সুজয় তাদের বোনকে খুব ভালো বাসতেন, তাদের সম্মান করতেন সবাই ভালো ও বাসতেন, কেউ যদি রাস্তা ঘাটে বিপদে পড়তেন রূদ্রনীল নিজেই গাড়ি থেকে নেমে সাহায্য করতেন,  সময়টা ভালোই কাটছিলো,

Rate this script:0.0 / 0 votes