Tha Real Father Page #16

রূদ্রনীলঃ কে তোমরা?

মায়াঃ এ ব মানে,আমি মায়া,

রূদ্রনীলঃ আর তুমি?

পার্বতীঃ আমি,,,

রূদ্রনীলঃ হ্যাঁ তুমি?

পার্বতীঃ আমিও  মায়া ,না না, পার্বতী,

রূদ্রনীলঃ তো কি চায়,

( তখন দুই বোন ঠেলা ঠেলি করে এ বলে তুই আগে বল ও বলে তুই আগে বল তখন রূদ্রনীল চিতকার করে বলছে)

রূদ্রনীলঃ খামস,

( তখনই দুই বোন কেদে নিলো তখন রুকমনি  এসে ওদের দুই বোনকে সামলাতে লাগে,তখন কিন্তু দুই ভাই বাসায় ছিলো না,)

রূদ্রনীলঃ এই দেখো কি জালা আমি কি তোমাদের বোকেছি যে কাদছ কি হয়েছে সে টা তো বলো,

( তখন মায়া কেদে কেদে বলছে)

মায়াঃ আমরা দুই বোন আপনার ছেলেদের ভালোবাসি,ওদের কত বার বলেছি আমাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে কখনোই তারা �

িখার হয়নি,আজ বুঝেছি কেনো তারা �

িখার হয়নি,

রূদ্রনীলঃ হুম বাবা সোজা বিয়ের প্রস্তাব, তা তোমাদের বাবা কি করে,

মায়াঃ আমাদের বাবা মা কেউ নেই,আমরা অনাথ আর আমরা একটা অনাথ আ�

্রমে বড় হয়েছে সেখান থেকে লেখাপড়া �

িখছি,

( তখন রূদ্রনীল আর রুকমনি তাদের কোলে টেনে নেই,কিছু সময় পর, অজয় আর সুজয় তাদের মা সুসমিতাকে মন্দির থেকে নিয়ে বাসায় আসে এবং দু ভাই বাবার পাসে বসে,ঠিক তখনই দুই ভাইকে দুই বোন দু কাফ চা দেয়,রূদ্রনীলকে ও দেয়, ,এখনো পর্যন্ত কিন্তু দুই বোনকে দেখি নাই, দু'ভাই,যখন দুই ভাই বাসায় আসে তখন দুই বোন চা বানাচ্ছে,যখন দুই  ভাই  চা খাই তখন সুজয়  বলছে)

সুজয়ঃ বাহ,চা টা তো খুব সুন্দর হয়েছে,নতুন কাজের লোক নাকি,বাহ,বাবা আজ থেকে এদের বেতনটা বাড়িয়ে দেও,আর রেখে দেও,

রূদ্রনীলঃ আমি ও তাই সকাল থেকে ভাবছি একদমই সারা জীবনের জন্য রেখে দিবো,

অজয়ঃ বুঝলাম না বাবা!

রূদ্রনীলঃ হুম বুঝাচ্ছি, কোই কাজের লোক,,,,,

( ঠিক তখনই দুইবোন হাজির সামনে ,তখন অজয় আর সুজয় দুইবোনকে দেখে থতমত খেয়ে গেলো,বুঝতেই পারছে না কিছু)

রূদ্রনীলঃ কেমন দেখতে আমার নতুন মিষ্টি কাজের মেয়েরা,

অজয়ঃ ভা,,,ভা,,ভা,,ভালো, কোথায়  থাকে এরা,

রূদ্রনীলঃ সয়তানের দল কোথায় থাকে হুম এখন চিনতে পারছ না,হুম,

( এই বলে দুই ভাইকে কোলে নিয়ে কেতুকুত দিতে লাগে, তারপর কিছু দিন পরে ওদের বিয়ে দিয়ে দিলো)

�

র্টঃ১১৩,স্থান রূদ্রনীলদের বিয়ে বাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে আটজন,(বীরভদ্র,অজয়,সুজয়,মায়া,পার্বতী,সুসমিতা,রূদ্রনীল,রুকমনি,সহ বিয়ে বাড়ির অতিথি)

( আজ তাদের বিয়ে,অনেক লোক আসছে বিয়েতে, ঠিক তখন লোকের মধ্যে অজয় মাইক নিয়ে বলছে)

অজয়ঃ হ্যালো, হ্যালো,সবাই �

োনেন আজ আমাদের বিয়েতে  গান গেয়ে �

োনাবেন এবং নেচেও দেখাবে আমাদের আদরের আন্টি রুকমনি দেবি,সবাই হাতে তালি দেন,

( প্রথম প্রথম গাইতে চাইছিলো না,সবার কথায় গাইলো,এখন নাচ ও গান চলছে,যখন গান গাইছে রুকমনি তখন �

ুধু রূদ্রনীলের দিকে তাকিয়ে গাইতে লাগে রূদ্রনীল ও তাকিয়ে আছে আর সুসমিতা সব দেখছে,গানের ভিতর দিয়ে পাঁচ বছর পার হয়ে গেলো অজয়ের এক ছেলে, আর সুজয়য়ের এক মেয়ে, গানের ভিতর সব চলছে, পাচ বছর পর)

পাচ বছর পর.....

�

র্টঃ১১৪,স্থান জেলের সামনে,সময় দুপুর, চরিত্রে দুইজন,(বীরবেতাল,বীরপ্রতাপ,সহ কিছু গুনডা)

( টানা বি�

বছর পর আজ জেল থেকে ছাড়া পাবে বীরপ্রতাপ, তাই জেলের সামনে দাড়িয়ে আছে অনেক গুনডা ফুল নিয়ে এবং বীরবেতালও আছে,যখন বীরপ্রতাপ জেল থেকে বের হয়ে আসে গুনডারা দেখে সবাই ভয় পাই,দেখতে পুরো জঙ্গলিদের মত,তখন বীরবেতাল দৌড়ে গিয়ে প্রণাম ও জড়িয়ে ধরে,আর তখনই বীরপ্রতাপ বীরবেতালকে থাপ্পড় মারে আর বলে)

বীরপ্রতাপঃ আহ, এখন আমাদের এসব করার সময় নাই,�

ালা নিজেকে মনে হচ্ছে একটা কুকুরের বাচ্চা , আহ!!

বীরবেতালঃ বড়বাবা এখন চলো, �

ুধু তোমার জন্য, �

ুধু তোমার জন্য আজ ওদের বাচিয়ে রেখেছি, আগে ওই সুসমিতাকে মারতে হবে,

বীরপ্রতাপঃ না না না,এখনো সে সময় আসি নাই,সে রূদ্র আর সে রূদ্র নেই,�

ুধু সময়ের অপেক্ষা, চল!

(ভিডিও ও ভয়েস �

র্ট)

( এই ভাবে অনেক ডায়লগ দিলো তারপর বীরনেতালের আড্ডায় চলে যায়, যখন গাড়িতে করে যায়,তখন তারা রূদ্রনীলের বাড়ির সামনে দিয়েই যায়,বীরবেতালের আড্ডায় গিয়ে তারা একটা পিলান করে,রূদ্রনীল যেখানে থাকতো সেখানে হিন্দু মুসলিম খুব মিলে মিসে থাকতো,তাদের ভিতর ফাটল ধরালো,)

�

র্টঃ১১৫,স্থান  ভবানিপুর মুসলিম মসজিদ,সময় বিকাল,চরিত্রে পাচজন,(অজয়,সুজয়,রূদ্রনীল,রূদ্রনীলদের পরিবার,বীরপ্রতাপ,বীরবেতাল,ও তার গুনডা দল,এবং এলাকার হিন্দু, মুসলিম)

( আজ রূদ্রনীলের এলাকায় একটা বড় করে মুসলিমদের অনুষ্ঠান করা হয় মসজিদে,   এখানে হিন্দুরা সবাই আসে খুবই মিলে মিসে এই অনুষ্ঠানটি করা হয়,আজ সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসছে রূদ্রনীল ও তার পরিবার, মেলা বসোছে অনেক লোক হয়েছে ঠিক তখনই রূদ্রনীল ও তার পরবিবার এলো গাড়ি থেকে আগে অজয় নেমে বাবার গাড়ির দরজা খোলে  যখনই মসজিদে দেখতে , মসজিদ মসজিদ মুসলমানদের পবিত্র একটা স্থান, সেখানে হিন্দুদের পবিত্র বেদ ও গিতা ওই মসজিদে কোনো এক সয়তান রেখে আসে, ঠিক তখনই হিন্দুও মুসলিমদের মধ্যে  মারামারি �

ুরু হয়ে যায়,রূদ্রনীলের কথা কেউ �

ুনছে না, মারামারি হচ্ছে,তখন অজয় আর সুজয় তার পরিবারকে বাচানোর জন্য গাড়িতে ওঠাতে যায়,তখন রূদ্রনীল যেতে চাইছে না)

রূদ্রনীলঃ আমাকে ঠেলছিস কেনো আমি এদের এ অবস্থায় রেখে যাবো না,

অজয়ঃ আহ,বাবা তুমি বুঝতে পারছ না কেনো,আমরা আছি তো,আমরা দেখব তুমি যাও,

( তখন সুজয় দেখতে পাই কিছু বাইরের লোক �

ুধু মুসলিমদের মারছে তখন অজয়কে বলছে)

সুজয়ঃ এ দাদা দেখ এরা তো বাইরের গুনডা,

অজয়ঃ হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি এটা কারুর কাজ সাজি,চল মুসলিমদের বাচায়,

(তারা মারামারও করছে মুসলিমদের বাচানোর চেষ্টা করছে, সবাই এদিক ওদিক করছে ছুটা ছুটি করছে  ,তখন পুলি�

এসে এই মারামারি থামায়,পুলি�

এসে বলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যে রূদ্রনীলে ড্রাইভার রঘু- গিতা ও পবিত্র বেদ,ওই মসজিদে রেখে আসে,তখন সবাই দেখে রূদ্রনীলের বিপক্ষে চলে যায়,কিছু লোক বি�

্বাস করতে চাইলো না, হিন্দুরা মুসলিমদের খুব মেরেছে,পুলি�

ও মুসলিমদের বিপক্ষে, তাই একটা মুসলিম, পুলি�

কে বলছে)

মুসলিমঃ স্যার এসব আমরা করি নাই বা ড্রাইভারকে আমরা বলি নাই, সব এই হিন্দুদের কাজ সাজি ,

( এই বলার সাথে সাথে পুলি�

মারছে আর বলছে)

পুলি�

ঃ তুই আমাকে �

িখাবে কে ভালো কে মন্দ �

ালা তোদের একটা একটাকে মেরে হাড় ছাড়িয়ে নিবো,

(ভিডিও �

র্ট,ও ভয়েস �

র্ট,-অর্থাৎ ভিডিও ও দেখাতে হবে এবং মুখে বলতে হবে)

( কিছু সময় পর রূদ্রনীল এলো এসে পুলি�

কে ধমকি দিলো অনেক ডায়লগ ও মারলো আর মুসলিমদের পক্ষ নিলো, আবার কিছু সময় পর বীরপ্রতাপ এলো  তিন চারটা গাড়ি করে এলো অনেক গুনডা তাড়াতাড়ি আগে বীরবেতাল গাড়ি থেকে নেমে বীরপ্রতাপের গাড়ির দরজা খোলে, এবং যখন গাড়ি থেকে নামছে তখন সবাই তাকিয়ে পড়ে বীরবেতালের পিছনে অনেক গুনডারাও ছিলো,বীরপ্রতাপকে একটা গুনডা দৌড়ে গিয়ে একটা দোকান থেকে চিয়ার এনে দিলো ,তখন চিয়ারে বসল,হাতে একটা চুরুট ধুতি আর সাদা টি সার্ট পরা, এসে আবার কিছু মিথ্যা কথা বলে হিন্দুদের উসকে দিলো অনেক ডায়লগ দিলো বীরপ্রতাপ,তার কথায় সেখানকার হিন্দুরা খুবই মান দিলো বীরপ্রতাপকে,এভাবে বীরপ্রতাপ সেখানে হিন্দুদের  দান ও সহযোগিতা করে,এভাবে ধিরে ধিরে  বীরপ্রতাপ ওখানকার সম্মানীও বেক্তি হয়ে দাড়ায়,)

২ বছর পর....

(ভিডিও �

র্ট,ও ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ - মুখে বলতে হবে,এবং ভিডিও দেখাতে হবে)

(একদিন বাজারে বীরবেতাল একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়,আর তাকে ধর্ষণ করে,সবাই দেখেছে,কিন্তু ভয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলো না,কারন সব আইন বীরপ্রতাপের কথায় চলতো যত দুই নম্বর কাজ ছিলো সব বীরপ্রতাপ করত,স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সব বীরপ্রতাপের দুই নম্বর ব্যাবসার টাকা দিয়ে করা, তাই সবাই ভয় পেতো,যে বাজার থেকে মেয়েটাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, বীরবেতাল সেই মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে সেই বাজারে ফেলে রেখে যায়,তখন সেখানকার লোক ভয়ে রূদ্রনীলের কাছে গিয়ে তাদের অত্যাচারের কথা বলছে, তখন অজয় বলছে)

�

র্টঃ১১৫,স্থান রূদ্রনীলদের বাড়ি,সময় দুপুর,চরিত্রে রূদ্রনীলের পরিবার সহ এলাকার কিছু লোক,(অজয়,সুজয়,রূদ্রনীল,এবং এলাকার লোক)

অজয়ঃ কেনো সেদিন কোথায় ছিলো আমার বাবা,সেদিন আমার বাবার কোনো কথা তোমরা �

ুনলে না,আজ তোমাদের কোনো সাহায্য করতে পারবো না,

( তখন রুদ্রনীল হাত উচু করে অজয়কে থাকমতে বলে)

রুদ্রনীলঃ আচ্ছা এর একটা ব্যাবস্থা আমি করছি তোমরা এখন আসতে পারো,

সুজয়ঃ বাবা তুমি দাদার কথা রাখলে না,

রুদ্রনীলঃ আরে পাগল আমার আদের লোক সবাই আজ আমার কাছে ভিক্ষা চাইতে আসছে কি ভাবে তাদের ফিরেই দিবো বল,তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে,আমি যদি সাহায্য না করি তাহলে কোথায় যাবে বল,

Rate this script:0.0 / 0 votes