Tha Real Father Page #2

( তখন ইনেক্সপেক্টরের এন্ট্রি,নামঃ  সিংহ ছিনা,)

সিংহঃ আমি সেই সের যে এলাকাই আমি যায়,সেখান কার কুকুর বিড়াল একই বিছানায় ঘুমাতে �

ুরু করে, আর তুই কি না আমাকে বলিস আমি একটা হিজড়া,

(তখন ভিমাকে মারধর করে জেলে নিয়ে যায়)

(�

র্টঃ৪,স্থান, জেল,সময় একই,চরিত্রে, দুইজন,(সিংহ,ভিমা)

(  ভিমাকে খুব মারলো,  জেল খানায় উল্টো ঝুলিয়ে) 

�

র্টঃ৫, স্থান, বীরপ্রতাপের ভি�

াল বাড়ি,সময় দুপুর বৃষ্টি হচ্ছে(�

ুধু �

র্ট)

(ভবানিপুর এটা বীরপ্রতাপের গ্রাম, আজ গ্রামের সব লোক বীরপ্রতাপের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে, আজ তিনজন লোক মারা যাবে বীরপ্রতাপের হাতে, আপনারা ভাবছেন কেনো আজ বীরপ্রতাপের বাসার সামনে হাজার হাজার লোক দাড়িয়ে আছে আর কেনোই বা এই তিন জনকে বীরপ্রতাপের লোক ধোরে রেখেছে, কি অপরাধ করছে,তাহলে দুদিন পিছনে যেতে হবে, কি হয়েছিলো দুদিন আগে,চলুন দেখি নিয়ে যাক,)

দুইদিন আগে........

�

র্টঃ৬,স্থান, ভবানিপুর মেলা হচ্ছে, সময় বিকাল,চরিত্রে, চয়জন সহ এলাকার লোক,(তিনজন বাজে ছেলে,একটা কমেডিয়ান, একটা মহিলা,ভবানি ও ভবানির লোক)

( ভবানিপুর এই গ্রামের নাম, এখানে প্রত্যেক বছর এই দিনে এই গ্রামে মেলা হয় আর দূর দূরন্ত থেকে মেলা দেখতে লোক আসে, আর গ্রামের কিছু বাজে ছেলেরা আজ সেই  মেলার ভিতর মেয়েদের  বাজে বাজে কথা বলছে, বাজে বাজে ইসারা করছে,কোনো মেয়ে এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের চুমু দিতে যায়, ঠিক তখনই মেলার ভিতর উদায় হলো নায়কের মত এন্ট্রি মারলো, একটা কমেডিয়ান, লোক জন সবাই ভেবে ছিলো আজ এই বাজে ছেলে কয়টাকে খুব মারবে, কারন যে ভাবে বাজে ছেলেদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো, সেই রকমই মনে হচ্ছিলো এই দেখে সবাই হাতে তালি ও ছিটি মারতে লাগে, এবং সেই কমেডিয়ান অনেক কমেডি ডায়লগ মেরে তাদের মারতে যায়,আর তখনই সেই বাজে ছেলেদের কাছে আদম মার খেলো,তারপরেও সেই বাজে ছেলেরা মেয়েদের বিরক্ত করেই যাচ্ছে, আর যখন একটা মহিলা প্রতিবাদ করতে গেলো, তখন সেই মহিলাকে ধাক্কা দিলো আর পড়বে পড়বে না,গিয়ে পড়ল বীরপ্রতাপের লোকের  পায়ে গিয়ে পড়ল নাম ভবানি, তখন সেই তিনজন বাজে ছেলেকে ধরে নিয়ে গেলো,আর সেই বিচার দুদিন পরে)

বর্তমান.....

�

র্টঃ৭,স্থান, ভবানিপুর বীরপ্রতাপের ভি�

াল বাড়ি,সময় দুপুর বৃষ্টি হচ্ছে, চরিত্রে,সাতজন সহ কিছু গুনডাও এলাকর লোক(বীরপ্রতাপ,সেই তিনজন বাজে ছেলেও তাদের বাবা মা,ভবানি,)

(আজ সেই দিন আর গ্রামের লোক সবাই বীরপ্রতাপের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে,এবং সেই তিন জন বাজে ছেলের মা বাবাও আছে তারা খুব কাদতে লাগলো, আর বলতে লাগলো আমাদের ছেলেদের এরকম অপরাধ আর কোনো দিন হবে না, ঠিক তখনই )

(বীরপ্রতাপের এন্ট্রি)

( চুল কুকড়ি বুকড়ি চোক লাল,ধুতি পরা গায়ে সাদা গেনজি,পায়ে চামড়ার চপ্পল, এবং চুরুট খেতে খেতে ঘর থেকে বের হয়ে আসছে, ঠিক জানো দৌত্ত, আর কেমন জানি এলাকার সব লোক ভয়ে থমকে গেলো পিছু সরে গেলো মনে হলো বীর আসার সাথে ভূমিকম্প হয়ে গেলো,তার পর বীরপ্রতাপ বলছে,)

বীরঃ কে কে কে,বড় দুঃখ জনক  আমার গ্রামের ছেলে আমার মেলায় আমার মেয়েদের বিরক্ত করা, 

( তখনই কথার মাঝে কথা বলল তিন নম্বর ছেলের মা,কথার মাঝে কথা বলা বীর মোটেও পছন্দ করে না,)

মাঃ বাবু আমার ছেলে বড় ভূল করছে আর এ ভূল হবে না খমা করে দেন বাবু,

( এই বলার সাথে সাথে তিন নম্বর ছেলের লিঙ্গ বাম হাত দিয়ে টেনে ডান হাত দিয়ে মাজা থেকে ছুরি বের করে সবার মধ্যে কেটে ফেলে দিলো,আর তখন বীরপ্রতাপ বলছে,)

বীরপ্রতাপঃ কথার মাঝে কথা বললে আমার খুব রাগ হয়,

( এই দেখে গ্রামের সব লোক ভয়ে কাপতে লাগে,সেখানে পুলি�

ও ছিলো পুলি�

ও বীরকে খুব ভয় পায় এমন কি পুরা এস্টেট ভয় পায়,বীরপ্রতাপকে, এবং ওই একই অবস্থা করল ওই দুই ছেলেকে লিঙ্গ কেটে দিলো,এবং সবাইকে অনেক ধুমকি দিলো, ভালো কথা বলে,(ডায়লগ) তারপর বীরপ্রতাপ  সবাইকে যেতে বলল,আর সেখানে সেই তিন ছেলের মা বাবা কাদতে কাদতে হাসপাতালে নিয়ে গেলো,আর গ্রামের লোক বলা বলি করতে লাগলো,)

গ্রামের লোকঃ একটুকু অপরাধের জন্য কেউ এরকম �

াস্তি দেয়,�

ালা রাক্ষস, কোনো মায়া দয়া নেই,

( এ ধরনের অনেক কথা বলাবলি করতে লাগে গ্রামের লোক,)

দুইদিন পর......

�

র্টঃ৮,স্থান, হাসপাতাল,সময় সকাল,চরিত্রে দুইজন( রূকমনি,ডাক্তার- মহিলা)  (মিড �

র্ট,ফ্রেমে দুইজন এক সাথে)

( ওদিকে দু দিন পরে রুকমনি হাসপাতালে গিয়ে দেখে রূদ্রনীল হাসপাতালে নাই,ডাক্তারের কাছে �

োনে তখন ডাক্তার বলে)

রুকমনিঃ  ডাক্তার তিন নম্বর বেডের পেসেন্ট কোথায় গিয়েছে?

ডাক্তারঃরূদ্রনীল বাবু তো দুদিন আগেই  হাসপাতাল থেকে  চলে গিয়েছে,(তখন রুকমনি খুব ভয় আর হতাস হয়ে পড়ে)

কিছু সময় পর......

�

র্টঃ৯,স্থান, রাস্তার মধ্যে গাড়ি চালাচ্ছে,সময় সকাল,চরিত্রে দুইজন,(রুকমনি, ড্রাইভার )

(তারপর রূদ্রনীলকে খুজতে �

ুরু করে দিলো, অনেক খোজা খুজির পর রাত হয়ে গিয়েছে আর রুকমনিও খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, তাই আসা ছেড়ে দিয়েছে)

কিছু ঘন্টা পর....

�

র্টঃ১০,স্থান, রাস্তাও বৃদ্ধা�

্রম,সময় সন্ধ্যা রাত,চরিত্রে, দুইজন সহ কিছু  বৃদ্ধা�

্রমের লোক( রুকমনি,রূদ্রনীল,) (মিড �

র্ট,দুইজন ফ্রেমে একসাথে)

( হাটতে হাটতে রাস্তার পাস দিয়ে যখন যাচ্ছে রুকমনি, ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে   রাস্তার পাসে একটা RR বৃদ্ধা�

্রম বাদে, কোনো ভাবে রুকমনির চোক পড়ে গেলো ওই বৃদ্ধা�

্রমে দেখে রুদ্রনীল, যে রূদ্রনীল চৌধুরীর  সব কিছু থাকতেও আজ বৃদ্ধা�

্রমে, আর দ�

টা বুড়োদের সাথে একই আ�

্রমে বসে খেতে লাগে, এই দেখে রুকমনি খুব ভেঙ্গে পড়ে আর কাদতে থাকে, দৌড়ে গিয়ে রূদ্রর কাছে গিয়ে বলছে,)

রুকমনিঃ এ তুমি কি করছ,আজ এ কি অবস্থা হুম,এ আমি কি দেখছি,

রূদ্রনীলঃ কেনো তুমি কি ভাবছো ??

রুকমনিঃ এ কি সেই রূদ্রনীল চৌধুরী যার ভয়ে পুরো এস্টেট মাথা উচু করতে ও দিধাবোধ করত আর সে বৃদ্ধা�

্রম,

রূদ্রনীলঃ হ্যাঁ, আমার প্রাপ্য আমি নিজেই তৈরি করতে চায়,জানি আমি যদি এখনো উঠে দাড়ায় তো পাখিতে ডাক দেওয়া ছেড়ে দিবে  বাচ্চারা কথা বলা ছেড়ে দিবে, পুলি�

ঘুস খাওয়া ছেড়ে দিবে,কিন্তু আমি তা চায়না, সব ছেড়ে দিয়েছে তো দিয়েছে, রুকমনি তুমি এখান থেকে যাও,আমি যে পাপ করেছি সেটার ভোগ আমাকে ভুক্তে দেও,

রুকমনিঃ ওটা তোমার ভূল না, ওটা একটা দূর্ঘটনা!

রূদ্রনীলঃ দূর্ঘটনা হলেও তো সেটা আমার থেকে হয়েছে ,

রুকমনিঃ না আমি তোমাকে কষ্টে থাকতে দিবো না,চলো তুমি আমার বাসায় চলো,

রূদ্রনীলঃ রুকমনি আমার দিব্যি তুমি এখান থেকে চলে যাও,তা ছাড়া আমার ছেলেরা যদি তোমাকে দেখতে পাই যে তুমি আমাকে সাহায্য করছ,তাহলে তোমার ক্ষতি করবার চেষ্টা করতে পারে,

রুকমনিঃ যাওয়ার হলে তো কত আগেই চলে যেতাম, এখনো তুমি আমাকে চিনতে পারলে না রূদ্র,

( এভাবে অনেক প্রেম ও দুঃখের কথা হলো তারপর রুকমনি সেখান থেকে চলে গেলো,)

�

র্টঃ১১,স্থান, রূদ্রনীলের বাস ভবন,সময় রাত দ�

টা,পার্টি চলছে,চরিত্রে,পাচজন সহ পার্টির লোক,( মায়া,পার্বতী, অজয়,সুজয়,পান্নালাল,)

( ও দিকে রূদ্রনীলের দুই ছেলে বাসায় পার্টি করছে তাদের বিবাহ বার্ষিক হয়েছে সেই উপলক্ষে পার্টি দিচ্ছে, অনেক ভিআইপি লোক আসছে, বড় ছেলের বৌয়ের নাম অর্থাৎ অজয়ের স্ত্রীর নাম, মায়া,আর সুজয়ের স্ত্রীর নাম পার্বতী, খুবই ভালো তারা, বড় ছেলের একটা ছেলে, আর ছোট্ট ছেলের একটা মেয়ে, আজ তারা খুব মজা করছে ডিজে বাজিয়ে,কিন্তু দুই বৌয়েরই মন মরা কারন জানে যে তাদের স্বামীরা খুব খারাপ। আজ দুই বৌ বাবাকে বাজার থেকে আসার সময় বৃদ্ধা�

্রম দেখে কাঁদতে কাঁদতে তারা বাসায় আসে, আর এদিকে ছেলেরা পার্টি করছে,যখন বড় ছেলে অজয় নাচতে নাচতে বাবার যেই রাজত্ব চিয়ারে বসে রাজ করতো সেই চিয়ারে যখন হাত দেয়,তাদের বাড়ির চাকর নাম পান্না লাল,বাড়ির বড় ছেলেকে সবার মাঝে থাপ্পড় দেয় এই দেখে, কারন পান্না লাল সব সময় রূদ্রনীলের পাসে থাকতো পান্না লালের বয়স ৮০ তাও সে এখনো জোয়ানের মত দেখতে,  আর যে চিয়ারে রূদ্রনীল বসতো ভালো মন্দ বিচার করতো সেই চিয়ারের দিকেও তাকাতে সবাই ভয় পেতো একমাত্র এই পান্নালালই চিয়ারের দেখা �

োনা করতো আজ ও করে,তাই যখন অজয় মদ খাওয়া অবস্থায় চিয়ারে হাত দেয়, তখন পান্নালাল তাকে সবার মাঝে থাপ্পড় দেয়, এই দেখে দুই বৌ খুব খু�

ি হয়,কিন্তু সুজয় আর চুপ থাকতে পারলো না, পান্নালালকে খুব মারতে থাকে আর বলতে লাগে,)

সুজয়ঃ �

ালা তোকে আমাদের গুরুর আসনে বসিয়ে ছিলাম আজ তুই কি না,আমার দাদার গায়ে হাত দিস,

( এরকম অনেক কথা বলছে আর মারছে দুই বৌ যখন ঠেকাতে যায় তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় অজয়,যখন পান্নালালকে মারতে মারতে ঘরের বাইরে বের করে দিচ্ছে তখন পান্নালাল হাসতে লাগে আর পুরোনো সেই দিনের কথা মনে করতে লাগে কি ভাবে এই দুই ভাই জন্ম নিয়েছিলো কি ভাবে তাদের বড় করেছে, আর মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দিলো পান্নালালকে,এবং সেই চিয়ার পান্নালালের সামনে পুড়িয়ে দিলো  পান্নালাল অনেক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু তাদের �

ক্তিতে পারল না,)

Rate this script:0.0 / 0 votes