Tha Real Father Page #20

মহিমির বাবাঃ কাল থেকে তোকে যদি মহিনির সাথে দেখি তোর লেখাপড়া সব �

েষ,

( এধরনের কথ বলে তাকে ছেড়ে দিলো)

মহিমির বাবাঃ চল যা,

গুনডা গুলাঃ চল যা,যা,যা,

( এই কথা �

ুনে ছেলেটা চলে যাচ্ছে হুট করে মহিনির বাবার ফোনে একটা ফোন, আর ফোনে বলে)

মহিনির বাবাঃ বস আমি কলেজের ছাদে আছি,

ফোনঃ ওখানে কি করছিস?

মহিমির বাবাঃ বস একটা ছেলে আমার মেয়েকে বিরক্ত করত তাই তাকে একটু ধকমি দিতে এসেছে,

ফোনঃ আচ্ছা কোন কোন কলেজ?

মহিনির বাবাঃ কেনো স্যার?

ফোনঃ বল তাড়াতাড়ি,,

মহিনির বাবাঃ RR কলেজে স্যার।

ফোনঃ আমি যা বলি তাই কর ছেলেটাকে ছাদ থেকে ফেলে দে,

মহিনির বাবাঃ কি বলছেন বস।

ফোনঃ আমি যা বলি তাই কর, তোকে, তোকে, অনেক টাকা দিবো।

( এই কথা �

োনার পর হাতের ইসারায় ছেলেটাকে তার কাছে যেতে বলে কিন্তু ছেলেটা একটু দাড়িয়ে হুট করে দৌড় মারতে যায়,তখন গুনডারা দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরে,তখন ছেলেটা বলে)

ছেলেটাঃ স্যার আমাকে মারবেন না,স্যার আমি মারা গেলে আমার মা বাবা মারা যাবে আমি মা বাবার এক মাত্র ছেলে আমাকে মারবেন না স্যার,

( অনেক হাতে পায়ে  ধরে, কোনো কথায় �

ুনলো না তারা ছেলেটা কে ছাদ থেকে ফেলে দিলো আর মারা গেলো,)

বর্তমান...

�

র্টঃ১৩৬,স্থান কোর্ট,সময় সকাল,চরিত্রে ঊনি�

জন,(রুকমনি,রূদ্রনীল,অজয়,সুজয়,মায়া,পার্বতী,বীরপ্রতাপ,ভিমা,ফোনে দূর্গা, মহিনি,মহিনির বাবা,জজ,�

িবসংকর,রনজিত কুমার, সিংহ ছিনা,সহ কোর্টের কর্মকর্তা এবং এলাকার কিছু লোক ও গুনডা)

 

রনজিতঃ আর �

্রমিকদের মধ্যে ঢুকে বি�

াল নামে লোকটাকে কে মেরেছিলো,

( এই কথা �

োনার পর মহিনির বাবা ভয় পেয়ে যায়,প্রথম না না করে,)

রনজিতঃ তুমি যদি আজ সবার সামনে সত্যি কথা না বলো,তাহলে তোমার মেয়ের হাল কি হবে তুমি তো অব�

্যই জানো বীরপ্রতাপ কেমন,

( তখন বীরপ্রতাপ চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় উঠে চিতকার করে মহিনির বাবাকে বলছে, )

বীরপ্রতাপঃ না,ভিরু আমি তোকে কিছু বলব না।

জজঃ মিস্টার বীরপ্রতাপ আপনি চুপ থাকুন,

( এই কথা �

োনার পর রনজিত বলছে)

রনজিতঃ এক মিনিট মিলড,আপনি দেখেন বি�

াল কে মারার পিছনে যদি বীরপ্রতাপের হাত না থাকতো তাহলে ওখান থেকে চিতকার করে বলত না,আমার বিপক্ষ বিটনেসকে চুপ থাকতে,এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় ওই বীরপ্রতাপই মহিনির বাবাকে দিয়ে মারিয়েছে,ভিরু ভাই ঠিক না?

মহিনির বাবাঃ না মিলড আমালে ফাসানো হচ্ছে,

রনজিতঃ চোপ,একদম চোপ।

�

িবসংকরঃ মাইলড আমার মক্কেলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে,

জজঃ মিস্টার রনজিত আপনার �

িমাবদ্ধ বজায় রাখুন।

রনজিতঃ আচ্ছা কি ভাবে বা কার কথায় বি�

ালকে মেরেছিলে?

�

িবসংকরঃ এক মিনিট! যখন বি�

ালকে মারা হয়েছিল তখন সেখানে উপস্থিত ছিলো ,আমার বিপক্ষ উকিলের বোন ছিলো,এটা সত্যি নয় কি?

রনজিতঃ সত্যি হলেও এখানে কে বোন বা কে উয়েটনেস,সেটা একটু পরে হোক না।

�

িবসংকরঃ না মাইলড যদি অনুমতি দেন তো দেবী রুকমনিকে কাঠগড়ায় ডাকা হোক,

জজঃ অনুমতি দেওয়া হলো,

�

িবসংকরঃ ধন্যবাদ মাইলড, আচ্ছা রুকমনি দেবী যে দিন বি�

ালকে মারা হয় সেদিন আপনি অজয় আর সুজায়ের সাথেই ছিলেন?

(যখন বি�

ালকে �

্রমিক আন্দোলন মধ্যে থেকে কে একজন গুলি করেছিলো তখন গাড়ির মধ্যে বসে ছিল রুকমনি)

রুকমনিঃ হ্যা,,

�

িবসংকরঃ আচ্ছা ওইদিন কি হয়েছিলো একটু বলেন তো,

রুকমনিঃ যখন �

্রমিক দল রাস্তার মধ্যে আন্দোলন করছে তখন আমরা যায়,আর আমাদের দেখে �

্রমিক নেতা বি�

াল অজয়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ে আর তাকে লোকের মধ্যে থেকে কে একজন গুলি করে।

�

িবসংকঃ এক মিনিট রুকমনি দেবি আপনি আপনার ছেলেকে বাচানোর চেষ্টা করছেন,আপনি ভূলে যাচ্ছেন আপনিও একজন উকিল,

( অজয় আর সুজয় এই কথা �

োনার পর সবাই তো অবাক কি হলো বিষয়টা সবাই হতগম্ভ হয়ে গেলো)

রনজিতঃ �

িবসংকর আপনি আমার মক্কেলকে বিভ্রান্ত করছেন,

�

িবসংকরঃ আচ্ছা রনজিত আপনি যখন আমার মক্কেলকে বিভ্রান্ত করেছেন তখন আমি একটাও কথা বলি নই,আসা করি আপনিও করবেন না।

,(এই বলার সাথে রনজিত চুপ হয়ে বসে পড়ল)

�

িবসংকরঃ আপনি মিথ্যা কথা বলবেন না,আপনি কি  আপনার ছেলেদের বাচানোর চেষ্টা করছেন,

রনজিতঃ মিস্টার �

িব আমার মক্কেলকে পার্সোনাল প্র�

্ন করতে পারেন না,অজয় আর সুজয় আমার মক্কেলের ছেলে না।

�

িবসংকরঃ ও তাই! তাহলে রুকমনি দেবী নিজেই  বলুক অজয় আর সুজয় তার গর্ব ধারিনি মা,না।

( এখন সবার মুখে কোনো কথা নাই রুকমনি কি বলবে, হ্যাঁ  কি না,এই আসায় সবাই �

ুধু রুকমনির দিকে তাকিয়ে আছে,)

রুকমনিঃ হ্যাঁ,

( এই বলার সাথে সাথে অজয় আর সুজয় অবাক হয়ে যায়, ওদিকে রুদ্রনীল বসে বসে খুব খু�

ি হতে লাগে)

রনজিতঃ মাইলড আমার মক্কেলকে তার পার্সোনার প্র�

্ন করে,তাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে ,

জজঃ মিস্টার �

িবসংকর অজয় আর সুজয় যে রুকমনি দেবির ছেলে তার কি প্রমাণ আছে?

�

িবসংকরঃ প্রমাণ আছে বটে কি,অব�

্যই আছে,মাইলড অনুমতি দিলে রূদ্রনীল বাবুকে কাঠগড়ায় ডাকা হোক,

জজঃ অনুমতি দেওয়া হলো,

�

িবসংকরঃ আচ্ছা বাবু রূদ্রবীল চৌধুরী ,আপনিও কি অ�

িকার করবেন যে অজয় আর সুজয় আপনার আর রুকমনি দেবীর সন্তান না,

রূদ্রনীলঃ না, অজয় আর সুজয় আমার এবং রুকমনির সন্তান,

( এই কথা �

োনার পর অজয় আর সুজয়ের চোক বড় বড় হয়ে গিয়েছে)

�

িবসংকরঃ মাইলড গত ৩২ বছর আগের কথা যখন রূদ্রনীল রুকমনি দেবীর প্রেমে আবদ্ধ হয়ে বিয়ে করেন তার কিছু দিন পরেই জমজ সন্তান হয় নাম চাদ আর তারা,বিয়ের আগেই রুকমনি দেবীর গর্বে সন্তান আসায় রুকমনি দেবীকে বিয়ে করে,এবং কিছু দিন পরে রূদ্রনীলের বন্ধু �

ত্রু হয়ে যায়,তাদের পরিবারের কারনে,দুই পরিবারে সংঘর্ষ হয়ে মারা যায় দুই পরিবারেরই  কিছু সদস্য, আর বেচে তাকে বীরপ্রতাপের মা বোন ,কাকাবাবুর  স্ত্রী ও সন্তান,তাদের দেখা �

োনা করতেন �

্রী রূদ্রনীল চৌধুরী, ভালোই চলছিলো তাদের বসবাস কিন্তু দুবছর পর মিস্টার রনজিত তার বোনকে পড়াবে বলে আবেদন করে রূদ্রনীলের কাছে,রনজিত বাবুর মৃত্যু বাবার ইচ্ছে ছিলো নাকি তার মেয়েকে উকিল করবে,তাই সেই ইচ্ছে পুরোন করতে চায়,রনজিত বাবু তাই রূদ্রনীল বাবুর কাছে অনুমতি নিয়ে তার এক মাত্র বোনকে লন্ডন পাঠিয়ে দেয় উকিল বানাতে, এদিকে দুই সন্তানের খেয়াল রাখতে একটা মহিলা দরকার ছিলো, তখন বীরপ্রতাপের বোন সুসমিতাই ছেলেদের দেখা �

োনা করতো,রুকমনি দেবী কথা দিয়েছিলো রূদ্র বাবুকে তিন বছরের মধ্যে পড়া �

েষ করে ফিরে আসবে পাচ বছর পার হয়ে গেলো কিন্তু এলো না,মায়ের মত খেলার আর যত্ন দেখে এলাকার লোক রূদ্রনীল বাবুকে প্রস্তাব দেয় সুসমিতাকে বিয়ে করতে প্রথম প্রথম রাজি হয়েছিলো না,তার পর রাজি হয়ে বিয়ে করে,তাদের  মেয়ে ও হয়,বিয়ের পর। আর সুসমিতা ছেলেদের নাম রাখে অজয় আর সুজয়,আগের মাকে ভূলিয়ে পর মাকে আপন করে নেয়,দুই ভাই, আর বি�

বছর পর রুকমনি দেবী ফিরে এসে দেখে সব উল্টে পাল্টে গিয়েছে,কি সব সত্যি তো রূদ্রনীল বাবু?

রূদ্রনীলঃ হ্যাঁ!

জজঃ মিস্টার �

িব বাবু আপনি কোর্টের সময় নষ্ট করছেন কাজের কথয় আসেন,

�

িবসংকরঃ রূদ্রনীল বাবু আপনি আসতে পারেন,আচ্ছা রুকমনি দেবী, আপনি বলতে চাচ্ছেন ওই গনডোগোলে ভিড়ের মাঝে কেউ একজন বি�

ালকে গুলি মারে,

রুকমনিঃ হ্যাঁ!

�

িবসংকরঃ আপনি মিথ্যা কথা বলছেন, আপনার ছেলেদের বাচানোর জন্য।

রনজিতঃ এক মিনিট,একটা কথা না বললেই নয়,বাচ্চা ঘুমাবে না, তখন তার মা বলছে খুকা ঘোমালো পাড়া জুড়ালো, বর্গি এলো দে�

ে,

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে,

খাজনা দিবে কিসে,সে রকম কিছু একটা হচ্ছে না,

( এই কথা বলার পর কোর্টের সবাই হাসতে লা)

জজঃ অডার অডার,,,

রনজিতঃ আমার মক্কেল বলছে সে দেখেছে ভিড়ের ভিতর অচেনা একজন গুলি করেছে,তারপরেও তাকে জোর করে বলানো হচ্ছে, কেনো �

িব বাবু আপনি কি চান আমাদের, আমাদের, সময় বরবাদ হোক?

�

িবসংকরঃ কখনোই না।

রনজিতঃ তাহলে ডেকে নিবো ভিমাকে,রুকমনি দেবী আপনি আসতে পারেন,

( রুকমনি যখন নিজের ছিটে গিয়ে বসবে আর দুই ছেলে তার দিকে তাকিয়ে আর তাদের চোক দিয়ে জল পড়ছে,ওদিকে ভিমার কথা �

ুনে বীরপ্রতাপ ও মহিনির বাবা ভয় পেতে লাগে যখন ভিমাকে  ডাকছে কাঠগড়ায়,ভিমা কাঠগড়ায় এলো)

রনজিতঃ ভিলা হুম নাম ভিমা, খুন খারামি ছাড়া আর তো কিছুই জানে না,মানুষের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই জানে না, ভালোবাসা কাকে বলে তাও জানে না,স্ত্রী কি সেটা কি জানো?

( এইসব বলে রনজিত ভিমাকে রাগানোর চেষ্টা করছে এই ধরনের প্র�

্ন করছে যাতে রাগের মাথায় সব কিছু বলে দেয়)

ভিমাঃ ওই উকিল মুখ সামলে কথা বল,উকিল ভালো হচ্ছে না কিন্তু।

( তাপর পরেও রনজি যা না তাই বলেই যাচ্ছে, আর ওদিকে বীরপ্রতাপ চেয়ারে বসে চোক বুজে বাহুতে থাবাতে লাগে আর মনে মনে বলতে থাকে)

Rate this script:0.0 / 0 votes