অপু Page #4

সন্দ্বীপঃ কি রে কি হলো,এ ভাবে দেখছিস কেনো?

অপুঃ কোই কিছু না তো!

(ঘর মালিক চলে গেছে, এখন যে যার যার রুমে যাবে,হুট করে একটা খুব সুন্দর �

ব্দ হচ্ছে, তাড়াতাড়ি সবাই উপরের দিকে তাকায়,দেখে একটা রুম বন্ধ করা ধিরে ধিরে সবাই সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছে, আর মিউজিকটা সেই বন্ধ ঘরে বেজেই চলেছে, যখন সবাই বন্ধ দরজার কাছে গিয়ে দরজায় যেই থাবা দিবে পিছন থেকে অর্থাৎ নিচে থেকে চিতকার করে বলে ওঠে, ওই রুমের দরজা খুলে না,এই বলার সাথে সাথে সবাই একটু ভয় পেলো এবং পিছনে তাকিয়ে দেখে ঘর মালিক)

সুপ্রিয়াঃ কেনো?

ঘরমালিকঃ তোমাদের বলতেই ভূলে গিয়েছি, মনের ভূলেও ওই দরজা খোলার চেষ্টা মোটেও করবে না,

অপুঃ কেনো সমস্যা কি?

ঘরমালিকঃ সেটা না জানলেও চলবে।

(এই বলে যে যার যার রুমে চলে গেলো,হুট করে অপু রুম থেকে বেরিয়ে আবার উপরের দিকে তাকিয়ে আবার নিজের রুমে ঢুকে গেলো)

�

র্টঃ২১,স্থান সারদা আর্টস কলেজ, সময় দুপুর, চরিত্রে তিনজন,(সুপ্রিয়া,অপু,সন্দ্বীপ)

(একই ক্লাসে তারা ছবি আকছে, সুপ্রিয়া একটা ফটো একেছে,যখন সন্দ্বীপ ও অপুর সাথে কথা বলে তার ফটোর দিকে তাকিয়ে দেখে সুন্দরী একটা মেয়ের ফটো,হুট করে চিতকার করে বলছে)

সুপ্রিয়াঃ আমি বুঝতে পারলাম, সত্যি আমি বুঝতে পারলাম না,একটা কি হলো?

সন্দ্বীপঃ কি হয়েছে খুব সুন্দর একটা ফটো তো।

সুপ্রিয়াঃ আরে সত্যি বলছি এটা আমি আকি নাই,

অপুঃ দেখি দেখি কেমন,বাহ খুব সুন্দরী একটা মেয়ে তো,আচ্ছা আমি একেছি,

(কেউ সুপ্রিয়ার কথা বি�

্বাস করছে না,সুপ্রিয়া কেদে ফেলেছে, এখন সন্দ্বীপ চারি দিকে তাকিয়ে দেখে সবাই তাকে দেখছে এবং পাগল ভাবছে,তাই সুপ্রিয়াকে ওখান থেকে নিয়ে চলে আসে একটা ফাকা জায়গা,)

সুপ্রিয়াঃ আমি সত্যি বলেছি ওটা আমি আকি নাই,কি ভাবে হলো,

সন্দ্বীপঃ আচ্ছা বাবা ঠিক তো, ও নিয়ে তুমি আর চিন্তা করো না দিদি,

অপুঃ ওই মেয়েটাকে মনে হলো কোথাও দেখেছি,

সন্দ্বীপঃ অপু,,,

অপুঃ ওকে, চুপ,

�

র্টঃ২২,স্থান রাস্তার মধ্যে, সময় দুপুর,চরিত্রে তিনজন,(সুপ্রিয়া, সন্দ্বীপ, অপু)

(সন্দ্বীপ ড্রাইভিং করছে,গাড়ি মধ্যে তারা তিন হাসি মজা করতে করতে যাচ্ছে, রাস্তার মধ্যে গাড়ি চলছে, হুট করে সামনে থেকে একটা গাড়ি এসে প্রায় ধাক্কা দিবে সবাই চিতকার করছে,কোনো ভাবে সামনের গাড়ি আর এদের ডাইরেক্ট ব্রেক মারায় সামনের গাড়ি থেকে ড্রাইভার কাচ ভেঙ্গে সামনে চলে আসে,এদিকে এদের তিন বন্ধুর কিছু হয়নি, তবে অনেক ভয় পেয়েছে)

�

র্টঃ২৩,স্থান১০ নম্বর ভাড়ার বাড়ি, সময় দুপুর, চরিত্রে পাচজন,( পাচ বন্ধু)

(গাড়ি নিয়ে ঘরের সামনে এসে দাড়ায় সুপ্রিয়া, সন্দ্বীপ, অপু,তারা এসে দেখে দরজা খোলা, ঘরে ঢুকে দেখে সব কিছু এদিক ওদিক,ঘরের আলো লিভানো,যখন সুপ্রিয়া ডাকছে)

সুপ্রিয়াঃ লিজা,ইকরা,

অপুঃ লিজা,মা লিজা,

সন্দ্বীপঃ ইয়ারকির একটা স্বীমা আছে,

অপুঃ ছরি,ইকরা,,,

(এই ভাবে ডাকার পর সুপ্রিয়া ফোন বের করে দেখে লিজা ও ইকরা তাকে অনেক বার ফোন করছে কিন্তু বুঝতেই পারিনি,)

সুপ্রিয়াঃ আরে লিজা আর ইকরা আমাকে অনেক বার কল দিয়েছিলো আমি বুঝতেই পরিনি,

সন্দ্বীপঃ বিষয় টা কি হলো বুঝলাম না,

(হুট করে কারেন্ট চলে এলো,তারপর দেখে ইকরা আর লিজা রান্নার ঘরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে,তাড়াতাড়ি গিয়ে তাদের চোকে মুখে জল দেয়, যখন তাদের জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে চিতকার করা �

ুরু করে দেয়,তারপর ওদের �

ান্তনা দেয়,)

অপুঃ আচ্ছা কি হয়েছিল বল তো?

কিছু সময় আগে,,,,,,,

�

র্টঃ২৪,স্থান ১০ নম্বর বাড়ি,সময় দুপুর, চরিত্রে দুইজন( ইকরা,লিজা)

(ইকরা আর লিজা বসে ভূতের ফিল্ম দেখছে,তাদের ফিল্ম দেখতে দেখতে মনে পড়ে গেলো সেই বন্ধ ঘরের কথা)

ইকরাঃ আচ্ছা বন্ধ ঘরে কি থাকতে পারে?

লিজাঃ তা আমাদের জেনে কি লাভ,

ইকরাঃ চল তো গিয়ে দেখা যাক,

লিজাঃ সুপ্রিয়া দি যদি কিছু বলে,

ইকরাঃ জানতেই পারবে না,

(এই বলে তারা ধিরে ধিরে সিড়ি বেয়ে উপরে বন্ধ দরজার কাছে যায়,তালা দেওয়া, তালাটা ভেঙ্গে দেয়,এবং ভিতরে ঢোকার পর দেওয়ালে দেখে �

ুধু পেইন্টিং আর পেইন্টিং, আলো যখন জালাতে গেলো,ঠিক তখনই বাল্ব কেটে গেলো,ওই রুমের ভিতরে একটা �

োয়ার জন্য বিছানা ও সারা দেওয়ালে পেইন্টিং এবং নিচে কিছু রঙ পেনসিল পড়ে আছে,বিছানা দেখে মনে হচ্ছে এখানে কেউ �

ুয়ে থাকে সব পরিস্কার, ইকরা বলছে)

ইকরাঃ আমার কেমন ভয় লাগছে চল চলে যায়, আমার ফোনে চার্জ নাই,

লিজাঃ আমার মনে হচ্ছে এখানে কেউ থাকে,না হলে বন্ধ রুম হ্যাতো পরিস্কার থাকে কি ভাবে,

(এই বলে তারা যখন বেরিয়ে আসবে, ঠিক তখনই একটা ফটোই দেখতে পাই ইকরার ফটো দেওয়ালে টাঙ্গানো,এবং তাতে লাল রঙ দিয়ে গুন চিহ্ন মারা,এই দেখে দুই জন খুব ভয় পাই এবং যেই বেরোই আসবে,ঠিক তখনই তাদের নাকে খুব দূর গন্ধ বের হচ্ছে, ইকরা তো বোমিই করে দিয়েছে, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলো এবং দরজা বন্ধ করে দেওয়ার পর ভিতরে একটা মেয়ে কান্না করছে,খুব করুন �

ুরে, আবার ভিতরে যায়,ধিরে ধিরে দরজা খুলল, খোলা মাত্রই চম্বুকের মত দুজনকে টেনে নিয়ে গিলো এবং খুব মারছে,কোনো ভাবে তারা নিচে নেমে এসে সুপ্রিয়াকে কল দিতে লাগে কিন্তু সুপ্রিয়া কল ধরছে না,হুট করে কারেন্ট চলে গেলো,এবার একটা পুরুষের �

ব্দ �

োনা যাচ্ছে, হাসছে �

ুধু হাসছে,আর অন্য দিকে মেয়েটা কাদছে আর বলছে আমার ভূল হয়ে গেছে, হুট করে মেয়েটা আবার হাসছে আর বলছে, কেউ বাজবিনা সবাইকে মেরে দিবো,তারপর ইকরা আর লিজা তাকিয়ে দেখে সারা ঘরে রক্ত আর রক্ত, ধিরে ধিরে রক্ত সারা ঘরে হয়ে যাচ্ছে এবং তারা দুইজন খুব চিতকার করছে)

বর্তমান,,,,,,

�

র্টঃ২৫,স্থান ১০নম্বর বাড়ি,সময় বিকাল,চরিত্রে পাচজন(পাচ বন্ধু)

(সবাই বসে খুব চিন্তা করতে থাকে, হুট করে সুপ্রিয়ার ফটো পাল্টে যাওয়া,হুট করে গাড়িতে প্রায় এক্সিডেন্ট করা,এসব নিয়ে তারা খুব ভাবছে,তারপর সন্দ্বীপ ঘর মালিকের কাছে ফোন)

সন্দ্বীপঃ হ্যালো স্যার ১০ নম্বর ভাড়ার ঘর থেকে বলছি,

ফোনঃ আপনি কে,বুঝলাম না,১০ নম্বর ভাড়ার বাড়ি মানে?

সন্দ্বীপঃ আরে আপনি নিজেই তো আমাদের এই বাড়ির চাবি দিয়েছেন,

ফোনঃ আচ্ছা আপনি গাজা ঠাজা খেয়েছেন,না কি,হ্যাতো রাতে ডিস্টার্ব করছেন কেন?

সন্দ্বীপঃ হ্যাতো রাতে!!!

(এই বলে ফোন কেটে দিলো,তারপর সবাই বলছে)

ইকরাঃ কি বলল?

সন্দ্বীপঃ দিন দুপুরকে রাত বলছে,আমার মনে হয় রং নম্বর,

(এই বলতে বলতে আবার সেই নম্বরে কল এলো)

ফোনঃ আচ্ছা আপনি ১০৯ নম্বর বাড়ির কথা বলছেন না তো?

সন্দ্বীপঃ আরে না ১০ নম্বর বাড়ির কথা বলছি,�

িব নারায়ণ বাবু আমাদের এই নম্বরটা এবং এই বাড়িটার চাবি দিয়েছে,

ফোনঃ কি বলছেন আপনি ওনি তো আমার দাদা তাছাড়া আমার দাদা তো প্রায় ১০ বছর আগে মারা গেছে, ওনি কি ভাবে আপনাকে ঘরের চাবি দিবে,আমাদের একটা বাসা ভাড়া দিতো সেটা হলো ১০৯ নম্বর বাড়ি,আর ওই বাড়িতে আপনারা কি করছেন,ওই ঘর তো প্রায় পাচ বছর ধরে বন্ধ, ওটাকে আমরা ভূতুড়ে বাড়ি বলি,ওই বাড়ির আস পাস দিয়ে কেউ দিনের বেলা যেতে সাহস পাই না,আর আপনি হ্যাতো রাতে ওখানে,তাড়াতাড়ি ওখান থেকে বেরিয়ে যান, না হলে আপনাকে মেরে ফেলবে।

(এই বলার সাথে সাথে সন্দ্বীপের হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো)

সুপ্রিয়াঃ আরে কি বলল?

অপুঃ আর ফোনটা ফেলে দিলি কেনো?

সন্দ্বীপঃ আমরা কেউ বাজবো না, আমাদের যে লোকটা ঘর ভাড়া দিয়েছিলো সে আজ থেকে দ�

বছর আগে মারা গেছে, তাছাড়া এখন নাকি রাত,আমরা কেউ বাজবো না, এটা ভূতুড়ে বাড়ি,

লিজাঃ কি আবল তাবল বকছিস?

অপুঃ লোকটা তোর সাথে মজা করছে, হা, হা,হা।

(এই বলার সাথে সাথে ঘরের সব লাইট গুলো ঝিক মিক করা �

ুরু করে দিয়েছে, আলো লিভে গিয়েছে, সব কিছু থমকে গেলো,)

সন্দ্বীপঃ সবাই চুপ,কেউ কোনো কথা বলবে না,যা হচ্ছে চুপ করে দেখ।

(হুট করে বাতরুমের ভিতর কিসের একটা �

ব্দ হচ্ছে , ধিরে ধিরে পাচজন ওই বাতরুমের দরজার কাছে গেলো সুপ্রিয়া হাত বাড়িয়ে দরজা খুলতে যাচ্ছে, যখনই খুলবে খুলবে,ঠিক তখনই উপরের বন্ধ রুমের দরজা থাবাতে লাগে, হুট করে কেপে ওঠে সবাই, তারপর সেই বন্ধ রুমের কাছে যায়, তখন বাইরে থেকে অপু বলছে)

অপুঃ কে ভিতরে কে আছেন?

(আর কোনো �

ব্দ হচ্ছে না,সব ঠিক ঠাক,এখন এরা কেউ এই বাসায়,থাকবে না,যাওয়ার জন্য যে যার রুমে কাপড় জামা প্যাক করে ঘর থেকে বেরোনোর মেইন দরজার কাছে যখনই এলো,আবার সেই আগের মত উপরের বন্ধ রুমের দরজা থাবাতে লাগে, আবার সবাই সেখানে গেলো,বন্ধ রুমের দরজা খোলার জন্য আবার �

ব্দটা বন্ধ হয়ে গেলো,তারপর দরজা খুলে গেলো, ভিতরে কেউ নাই,যখন রুম থেকে বেরিয়ে আসবে ঠিক তখনই রুমের ভিতরে একটা চেয়ার নিজে নিজে হেলছে,এখন সন্দ্বীপ ধিরে ধিরে চেয়ারের কাছে যাচ্ছে এবং চেয়ারটিকে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে,যখনই চেয়ারে হাত দিতে যাবে ঠিক তখনই রুমের দরজা ঠাস করে বন্ধ হয়ে গেলো, তখন রুমের ভিতর তুফান �

ুরু হয়ে গেলো আর কে যানো করুন সুরে হাসছে,আর এদিকে তারা ভয়ে চিতকার করতে থাকে,তুফানের ভিতর হুট করে দরজা খুলে গেলো,সুপ্রিয়া, লিজা ও অপু এদের রুম থেকে নিচে ফেলে দিলো এবং আটকে থেকে গেলো সন্দ্বীপ ও ইকরা, তারা মোটেও ওই দুই বন্ধুকে ছেড়ে যাবে না,কিন্তু অপু সুপ্রিয়াকে ও লিজাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে এলো,আর সারা রাস্তা দৌড়াচ্ছে এবং সুপ্রিয়া বলছে)

Rate this script:0.0 / 0 votes