অপু Page #5

সুপ্রিয়াঃ অপু আমরা কাজটা ঠিক করি নাই ওদের এভাবে রেখে আসা,চল ফিরে যায়,মরলে এক সাথে মরব,

লিজাঃ হ্যাঁ দিদি ঠিক বলছে চল অপু,

অপুঃ মারবে না,তোরা বুঝতে পারিস নাই,মারলে আমাদের আগেই মেরে দিতো,ওই ঘর টাকে মন্দিরের মত মনে করে ওই ভূত, তাই আমাদের থেকে ওরা ভালো থাকবে,আগে আমরা একটা মন্দিরে গিয়ে বাচার চেষ্টা করব,কারন আমাদের আগে মারার জন্য ঘর থেকে বের করেছে,

(এভাবে দৌড়াচ্ছে আর বলছে,এখন- �

র্ট নম্বর (১) একের ভিডিও দেখাতে হবে,অর্থাৎ - দৌড়ে তারা কি ভাবে পৌঁছে করব স্থানে, তারা বুঝতে পারিনি আর লিজাকে মেরে দেয়।)

মূল বর্তমান,,,,

�

র্টঃ২৬,স্থান একটা মন্দির, সময় সকাল,চরিত্রে তিনজন( পন্ডিত,লিজা,অপু)

( মন্দিরে বসে আছে সুপ্রিয়া,ওদিকে অপু একটু দূরে পন্ডিতের সাথে কি বলা বলি করল,তারপর সুপ্রিয়ার কাছে এসে বলছে)

অপুঃ সুপ্রিয়া দি,চলো?

সুপ্রিয়াঃ কোথায় যাবো?

অপুঃ ১০৯ নম্বর বাড়ি,

সুপ্রিয়াঃ কি বলছিস তুই,জানি না কি ভাবে কি বলব বুঝে পারছি না,কত বার বলেছিলো তার মা বাবা,আমরা �

ুনি নাই,

অপুঃ হুম,,আমরা চাইলে ও যেতে পারব না,কারন আমাদের যেতে দিবে না,আমরা যদি ও লিজা দের বাসায় যায়, তাহলে তারা ও বাজবে না,আমরা যে অপরাধ করেছি,

সুপ্রিয়াঃ কি অপরাধ করেছি?

অপুঃ এখন বলার সময় নাই,চলো আমাদের এখনই যেতে হবে।

(অপুকে ওই পন্ডিত সব কিছু খুলে বলেছে, ভূতটা কি কি করতে পারে,আর কি অপরাধ করেছে এরা পাচ বন্ধু ,তাই সুপ্রিয়াকে আড়ালে রেখে এসব কথা �

ুনলো, যদি সুপ্রিয়া জানতে পারে সে ও এই অপরাধের সাথে জড়িত তাহলে খুব কষ্ট পাবে)

(এই বলে তারা চলে এলো সেই ভূতুড়ে বাড়ি)

�

র্টঃ২৭,স্থান ভূতুড়ে বাড়ি,সময় এপাসে দিন ও পাসে রাত,চরিত্রে চারজন( অপু,ইকরা,সন্দ্বীপ,সুপ্রিয়া)

(দুইজন দাড়িয়ে দেখছে বাড়িটাকে যখনই গেট পার করে বাড়িটার ইরিয়াই ঢুকে গেলো ঠিক তখনই অন্ধকার অর্থাৎ রাত,ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়ে দেখে সন্দ্বীপের মাথার এপা�

থেকে ওপা�

দিয়ে রড বেরিয়ে গিয়েছে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মারা গেছে এবং তার পাসে ইকরা, খুব কাদছে,সন্দ্বীপের লা�

দেখে অপু কেদে দৌড়ে তার কাছে যায়,এদিকে সুপ্রিয়া বলছে)

সুপ্রিয়াঃ তুই তো বলে ছিলি এদের কিছু হবে না,এ কি হয়ে গেলো,

অপুঃ এসব কি ভাবে হলো?

কিছু ঘন্টা আগে,,,,,,

�

র্টঃ২৮,স্থান ১০৯ নম্বর ভাড়ার বাড়ি, সময় রাত,চরিত্রে দুইজন,(ইকরা,সন্দ্বীপ)

(যখন দরজা খুলে সুপ্রিয়া লিজা আর অপুকে বের করে দিলো তখন রুমের ভিতর বন্ধ ছিলো ইকরা আর সন্দ্বীপ,কিছু সময় পর সব কিছু আপনা আপনি ঠিক হয়ে গেলো সব কিছু আগের মত �

ান্ত,এখন ইকরা আর সন্দ্বীপ ভয়ে ভয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসছে, তারপর তাড়াতাড়ি দুইজন ঘর থেকে বের হয়ে চলে যাবে সন্দ্বীপ যখন আগে ঘরের দরজার বাইরে চলে এলো, এখনো ইকরা ঘর থেকে বের হয়নি,যখনই সন্দ্বীপ ঘরের বাইরে পা দিলো ঠিক তখনই উপর থেকে একটা রড এসে সন্দ্বীপের মাথা দিয়ে ঢুকে পিছন দিয়ে বের হয়ে গেলো,এই দেখে ইকরা ঘরেই থমকে গেলো এবং ধিরে ধিরে সন্দ্বীপ ওই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে ঢুকে মারা গেলো,)

বর্তমান,,,,,

�

র্টঃ২৯,স্থান ১০৯ নম্বর ভাড়ার বাড়ি, সময় রাত,চরিত্রে চারজন(ইকরা,অপু,সুপ্রিয়া,একটা গোসাই)

(সবাই চুপ করে বসে ভাবছে এর আসল মূল কারন কি,এভাবে চললে একে একে সবাই মারা যাবে,এর �

ুরুটা কোথা থেকে হলো,হুট করে অপুর ফোন এলো সন্দ্বীপের মা বাবা)

অপুঃ হ্যাঁ আংকেল বলো?

ফোনঃ আচ্ছা! এই �

য়তানের দল সন্দ্বীপের ফোনে ঢুকছে না কেনো,পড়া�

োনা বাদ দিয়ে মজা করে বেড়ানো,

অপুঃ আরে না,না, পড়া�

োনার অনেক চাপ তো তাই,

ফোনঃ হ্যালো অপু?

অপুঃ হ্যাঁ আন্টি বলো?

ফোনঃ বলছি তোদের অনেকদিন হলো দেখি না,তোরা আসবি কবে,আর সন্দ্বীপ কোথায়?

অপুঃ আন্টি সন্দ্বীপ তো একটু বাজারে গিয়েছে, আর আমরা দুই একের মধ্যে আসব, চিন্তা করার দরকার নেই।

(এই বলে ফোনটা কেটে দিলো, এবং সবাই কাদতে থাকে,কি করবে বুঝতে পারছে না,ঘর থেকে বেরোনোর সাথে সাথে কেউ না কেউ মারা যাবেই, আবার এ বিষয় নিয়ে কাউকে বললে সে ও মারা যাবে,এখন এরা কেউ বুঝতে পারছে না কি করবে,হুট করে ঘরের কলিং বেল বেজে ওঠে, এবং সাথে সাথে তারা খুব ভয় পাই, অপু ভয়ে ভয়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখে একটা সাধারণ মানুষ বয়স্ক, ভিতরে প্রবে�

করার পর পরই, সেই লোকটা তার গায়ের পো�

াক খুলে দেয়,পো�

াক খোলার পর পরই, ঘরে কেমন জানি ভূমিকম্প �

ুরু হয়ে গেলো, কারন এ কোনো সাধারণ মানুষ না,সেই ভূত বুঝতে পেরেছে, এনি এলো একটা মন্দিরের গোসাই, যখন অপু আর সুপ্রিয়া মন্দীরে ছিলো তখন এই পিলান টা করে অপু এই গোসায়ের সাথে, যখনই ভূমিকম্প হচ্ছে,আর সাথে সাথে একটা মেয়ে কাদছে আর বলছে কাউকে, কাউকে ছাড়ব না,তারপর সেই গোসাই মন্ত্র পড়ে র�

্মি কেটে তার উপর একটা আয়না দিয়ে সিধুর ছাড়িয়ে ভূতটাকে বসে এনে,তার জীবনের পুরো কাহিনী দেখছে ওই আয়নায়)

কিছু বছর আগে,,,,,,,,

�

র্টঃ৩০,স্থান সারদা আর্টস কলেজ, সময় দিন,চরিত্রে তিনজন,(অপু,স্যার, একটা বান্ধবী,সহ অনেক ছাত্র ছাত্রী)

(আজ কলেজে কে কত সুন্দর এবং অল্প সময়ের মধ্যে ছবি আকছে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে সবার আগে প্রথম হয়েছে এই কলেজের সুন্দরী, টপার,এবং সুসিলা,সেই মেয়েটার নাম অপু,কলেজের সবার দিদি, সবাই তাকে দিদি বলে,তার বান্ধবীর নাম ঊর্মিলা, যখনই প্রথম হয়েছে অপু,একটা স্যার তাকে মেয়ের মত ভি�

ন ভালো বাসে,প্রথম হওয়ার পর স্যারের কাছে দৌড়ে আসছে অপু)

স্যারঃ আরে পাগলি আসতে,পড়ে যাবি তো,

অপুঃ স্যার আমি এবারও আমি প্রথম ও ঊর্মিলা দ্বিত্বীয় হয়েছে,

স্যারঃ তাহলে?

অপুঃ তাহলে আপনি বলেছিলেন আমি যদি প্রথম হতে পারি,তাহলে আপনার বাইক দিবেন আমাকে,বাড়ি যাওয়ার জন্য,

স্যারঃ আচ্ছা বাবা আচ্ছা, তোরা আজই বাসায় যা,

�

র্টঃ৩১,স্থান হরিসপুর রাস্তার মধ্যে, সময় বিকাল,চরিত্রে চারজন(মা,বাবা,অপু,ঊর্মিলা)

(স্যারের বাইক নিয়ে রাস্তার মধ্যে মজা করতে করতে আসছে অপু আর ঊর্মিলা, অপুর বাড়ির সামনে বাইকের হরেন মারতে লাগে,ঠিক তখনই অপুর মা আর বাবা বেরিয়ে এসে দেখে অপু, পিছনে বসে আছে ঊর্মিলা,তারপর বাইক থেকে নেমে ঘরে প্রবে�

করে)

মাঃ ওটা কার বাইক হ্যাঁ?

ঊর্মিলাঃ আন্টি আমরা দুইজন চুরি করে এনেছি ,

মাঃ আমার সাথে দুষ্টুমি!

বাবাঃ তোরা যে �

য়তান আনতেও পারিস,

অপুঃ বাবা তুমি ও,,,

বাবাঃ আরে পাগলি মজা করছিলাম।

(এই ভাবে অনেক মজা করবার পর একই টেবিলে ঊর্মিলা সহ সবাই খাবার খেতে লাগে,)

(ভয়েস �

র্ট ও ভিডিও �

র্ট -অর্থাৎ মুখে ও বলতে হবে ভিডিও দেখাতে হবে)

( ঊর্মিলার মা বাবা কেউ ছিলো না,ছোট্ট থেকে অনাথ, যখন অপুর সাথে পরিচয় হয় তখন থেকেই অপুদের ওখানে থাকা �

ুরু করে দেয় ঊর্মিলা, অপুর মা বাবা সব সময় মনে করত তার দুই মেয়ে, বাবার সামান্য একটা চাকরি আছে তাতেই অনেক সুখী, দুজনকে নিয়ে মা বাবার অনেক সপ্ন, অপু আর ঊর্মিলা সব সময় বলে তারা দে�

ের নাম্বার অন আর্টিস্ট হয়ে দেখাবে,প্রায় সেই পথেই চলছিলো কিন্তু একদিন ওদের জীবনে একটা কাল মূহুর্ত আসতে চলছে)

�

র্টঃ৩২,স্থান সারদা আর্টস কলেজের সামনে ও হাসপাতালে,সময় দিন,চরিত্রে তিনজন(ঊর্মিলা, অপু,একটা ছেলে)

(বাইকে করে অপু আর ঊর্মিলা কেবল কলেজ থেকে বের হয়ে আসছে ঠিক তখনই একটা ছেলে অপুর বাইকের নিচে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে, এখন কি করবে বাইক থেকে নেমে তাকে হ্যালো হ্যালো করছে কোনো সাড়া নেই,কি করবে ছেলেটাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়,ডাক্তার বলেছে দুইদিন না হলে জ্ঞান ফিরবে না)

�

র্টঃ৩৩,স্থান অপুদের বাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে চারজন(অপু,ঊর্মিলা, মা,বাবা)

(অপু আর ঊর্মিলা দুইজন খুব চিন্তায় পড়ে গেলো ছেলেটা কি বাজবে,)

বাবাঃ আরে হতো চিন্তা করিস না তো,ছেলেটা ভালো হয়ে যাবে,তাছাড়া তোরা জেনে বুঝে আর দূর্ঘটনাটা ঘটাসনি,

অপুঃ তারপরেও বাবা ছেলেটাকে দেখে খুব মায়া লাগল,

ঊর্মিলাঃ আমি �

ুধু একটা কথা ভাবছি,হ্যাতোটুকু একটা আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি হলো,আমার বি�

্বাস হয় না,

মাঃ আয় তোরা খেয়ে নে!

�

র্টঃ৩৪,স্থান হাসপাতাল, সময় দিন,চরিত্রে পাচজন(ঊর্মিলা, অপু,ছেলেটা ও তার বন্ধু, এবং ডাক্তার)

(তারা দুইজন হাসপাতালে আসছে সেই ছেলেটাকে দেখতে,এদিকে ছেলেটা আর তার বন্ধু সহ ডাক্তার মিলে এক বেডে বসে তাস খেলছে আর সিগারেট খেতে লাগে,যখন ছেলেটার বন্ধু একটু রুমের বাইরে এসে দেখে সেই দুই মেয়ে আসছে,তাড়াতাড়ি তাস সিগারেট সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে)

Rate this script:0.0 / 0 votes