অপু Page #6

ছেলেটার বন্ধুঃ এই এই,,মেয়ে দুটো আসছে,তাড়াতাড়ি,,

(তখনই ছেলেটাও অসুস্থার ভান করে এবং পাসে বসে থাকা বন্ধু একটু কান্নার অভিনয় করছে এবং ডাক্তার বলছে)

অপুঃ ডাক্তার কি হবে ছেলেটার?

ডাক্তারঃ কি আর হবে,ছেলেটার মা বাবা নেই,মারা গেলে আপনার কেউ কিছু করতেও পারবে না,আমার মনে হয় বাজবে না,

(এই কথা �

োনার পর অপু ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে,এবং পাসে দাড়িয়ে থাকা ঊর্মিলা দেখতে পাই বেডের নিচে একটা তাস ও একটা সিগারেটর খোসা পড়ে আছে,সেই দিকে �

ুধু তাকিয়ে আছে,আবার ছেলেটার বন্ধুর ও চোক পড়ে যায়,তখনই ছেলেটা ঊর্মিলার দিকে তাকিয়ে একটু মুসকি হাসি দিয়ে পা দিয়ে সরিয়ে নেই,)

ডাক্তারঃ এখন আপনারা আসতে পারেন হয়তো আর দুই তিন দিন বাজবে আবার এসে দেখে যাবেন।

(এই �

ুনে অপু আর ঊর্মিলা রুম থেকে বেরিয়ে আসছে আর ঊর্মিলা বলছে)

ঊর্মিলাঃ আমার তো মনে হচ্ছে এরা সবাই অভিনয় করছে,বেডের নিচে সিগারেট তাস,ডাল মে কুচ কালা হে,

অপুঃ আরে না না,কেনো অভিনয় করবে, তুই একটু বে�

ি ভাবছিস।

�

র্টঃ৩৫,স্থান বাজার,সময় দিন,চরিত্রে চারজন(অপুর বাবা,সেই ছেলেটা ও তার বন্ধু, এবং একটা বাচ্চা)

(দুই বন্ধু বাজারে বাইক নিয়ে দাড়িয়ে আছে, ঠিক তখনই একটা অনাথ বাচ্চা রাস্তা পার হবার জন্য দাড়িয়ে আছে, যখনই পার হবে ঠিক তখনই একটা বড় গাড়ি এসে প্রায় ধাক্কা মারতে যাবে, সেই সময় ছেলেটা গিয়ে বাচায়,আর ছেলেটার বন্ধু চিতকার করে ওঠে,তখন সেই বাচ্চাটাকে বলছে)

ছেলেটাঃ এই তুমি বাসা থেকে একা বের হয়েছো তোমার মা বাবা কোথায়,

বাচ্চাঃ আংকেল আমার মা বাবা নেই, আমি রাস্তা ঘাটে থাকি,

ছেলেটাঃ কি বলছ,?

বাচ্চাঃ হ্যাঁ আংকেল এধরনের আঘাত আমরা প্রত্যেক দিনই খাই,আপনি ভালো বলে আজ প্রানে বেচে গেলাম,

ছেলেটাঃ তুমি স্কুলে যাবে?

বাচ্চাঃ যাওয়ার তো অনেক ইচ্ছে, কিন্তু �

ুনেছি যার বাবা মা নেই তাকে নাকি স্কুলে ভর্তি করে না,কারন বাবা মায়ের সাক্ষর লাগে যে,আমার তো আপন বলতে কেউ না-ই।

ছেলেটাঃ কে বলেছে চলো তোমাকে আজ স্কুলে ভর্তি করাবো,

(এই সব অপুর বাবা দেখছে,বাজার থেকে,তখন ছেলেটা এই অনাথ বাচ্চাকে দোকান থেকে নতুন জামা কাপড় কিনে দিলো,যখনই বাইক নিয়ে রাস্তায় বের হলো ঠিক তখনই একটা মোড়ে ছেলেটা ও অপুর বাবার বাইকের সাথে ধাক্কা খাই,তখন ছেলেটা বলছে)

ছেলেটাঃ আরে আংকেল আপনি কি কানা রাস্তা দেখতে পান না, যত সব,

(তখন অপুর বাবা একটু মুসকি হাসি দিয়ে ছরি বলছে,আর ছেলেটার বাইকের পিছনে থাকা বন্ধুটা বলছে)

বন্ধুঃ আরে থাম না,আংকেলটা হয়তো দেখতে পাইনি,তাই এই ভাবে বকে কেউ,তাছাড়া আমরাও তো তিন জন তাই না,

(তখন সামনে থাকা বাচ্চাটা বলছে)

বাচ্চাঃ আংকেল আপনার নাম?

ছেলেটাঃ রঘু,

বন্ধুঃ আর আমার নাম বিষ্ণুপ্রিয়া,

বাচ্চা ও রঘুঃ হাহাহাহা,

(তখন দূর থেকে অপুর বাবা তাদের নাম �

ুনতে পেলো আর রঘুকে তার খুব ভালো লেগেছে)

�

র্টঃ৩৬,স্থান বাড়ি,সময় দিন,চরিত্রে চয়জন( বাবা,অপু,ঊর্মিলা, রঘু,বিষ্ণুপ্রিয়া,ডাক্তার)

(বাড়িতে অপু তার বাবাকে বলছে)

অপুঃ বাবা তুমি বলেছিলে ছেলেটাকে দেখতে যাবে আজ চলো,ছেলেটা নাকি বাজবে না,

বাবাঃ আচ্ছা বাবা চল,না হলে তোরা ছাড়বি না!

ঊর্মিলাঃ আংকেল আসলে ছেলেটাকে ছাড়ব না!

বাবাঃ মানে,,?

�

র্টঃ৩৭,স্থান হাসপাতাল, সময় দিন, চরিত্রে চয়জন(ঊর্মিলা, অপু,বাবা,রঘু,বিষ্ণুপ্রিয়া,ডাক্তার)

(ডাক্তার আর দুই বন্ধু মিলে সিগারেট খাচ্ছে, ডাক্তার বাইরে যখন আসছে,তখন দেখে যে আজ পরিবার নিয়ে আসছে,এই দেখে ডাক্তার হাবুডুবু খেতে খেতে দৌড়াচ্ছে, রুমে গিয়ে দুই বন্ধুকে বলছে)

ডাক্তারঃ আরে �

ুয়ে পড়,�

ুয়ে পড়, আজ পরিবার নিয়ে আসছে,

(এই বলার সাথে সাথে আবার �

ুয়ে পড়ে রঘু এবং তারা অভিনয় করা �

ুরু করে দিলো। অন্য দিক ফিরে �

ুয়ে আছে রঘু,যখনই রুমের ভিতর ঢুকে দেখে বিষ্ণুপ্রিয়া,আর বিষ্ণুপ্রিয়া দেখে সেই লোক,যাকে বাজারে রঘু বকেছিলো)

বাবাঃ আরে তোমাকে চেনা চেনা লাগছে,

বিষ্ণুপ্রিয়াঃ এ মানে,

(এখন বিষ্ণু বোকা সেজে গেছে কি বলবে বুঝতে পারছে না,এবার যখন রঘু পিছনে ফিরে দেখে সেই লোক,যাকে রাস্তায় বোকে ছিলো,এখন রঘু ও বোকা সেজে গেলো)

বাবাঃ হ্যা রে মা,আমরা মনে হয় ভূল বেডে এসে গিয়েছি,

অপুঃ না বাবা ঠিকই আছে,

বাবাঃ আচ্ছা তাহলে হ্যাঁতোদিন এই ছেলেটার জন্য আসতে, বে�

ি দিন বাজবে না,

অপুঃ হুম বাবা,

বাবাঃ আমি কালকে ঠিক এরকমই একটা ছেলেকে বাজারে দেখেছি,

(এই ভাবে অনেক অভিনয় করবার পর মেয়েটা বুঝতে পারে,তারপর মেয়ে কষ্ট পেয়ে চলে যাচ্ছে কাদতে কাদতে,)

ঊর্মিলাঃ তোদের একটাকেও ছাড়ব না,�

ালা ডাক্তার,

বাবাঃ দাড়া মা,কাদিস না,দেখলে বাবা আমার মেয়েটাকে কাদিয়ে দিলে তো,

(ভিডিও �

র্ট)

(এভাবে প্রত্যেক দিন মেয়েটাকে ইমপ্রেস করার জন্য সব সময় তার পিছু করত,কলেজে বাজারে রাতে বাসার সামনে,ধিরে ধিরে মেয়েটা রঘুকে ভালোবেসে নিলো, একদিন রঘুকে তার বাসায় নিয়ে এলো)

�

র্টঃ৩৮,স্থান অপুদের বাড়ি,সময় দিন,চরিত্রে পাচজন(অপু,মা,ঊর্মিলা, বাবা,রঘু)

(রঘুর কেউ নাই,রঘু সব কাজ করতে পারে,সে লেখা পড়া জানে না,তাই একটা হোটেলে কাজ করে,যখন রঘু অপুদের বাসায় ঢুকছে তখন একটু লজ্জা পাচ্ছে)

অপুঃ দেখো আজ কাকে এনেছি,

বাবাঃ আমি ও ভাবছিলাম ছেলেটাকে কবে জানো আমার বাসায় নিয়ে আসে,

অপুঃ এসো,,,বাবাকে প্রণাম করো,

ঊর্মিলাঃ বস তোমার জবাব নেই,আমাদের অপুকে পটিয়ে নিলে,

বাবাঃ তোমার পরিবারে কে কে আছে?

(তখন রঘু একটু ভয় ও লজ্জা পেতে লাগে কি বলবে বুঝে পারছে না,ইসায়ার অপু বলছে বল, তখন বলছে)

রঘুঃ আংকেল,যা বলব সত্যি বলব,এই পৃথিবীরতে আমার বলতে কেউ নাই,বিষ্ণু ছাড়া,লেখাপড়া জানি না,তবে হ্যাঁ কি ভাবে অপুকে সুখে রাখতে হবে, আর দ�

টা বৌয়ের মত খেয়াল রাখতে হবে সেটা পারি,আমি মনে করি না আমি অনাথ,

(এভাবে অনেক কষ্টের কথা বলে অপুর বাবার মন জয় করে নিলো রঘু,তখন অপুর বাবা বলল)

বাবাঃ �

োনো বাবা, আমাদের সপ্ন দুই মেয়েকে দ�

ের একজন করব,দে�

ের নাম্বার ওয়ান আর্টিস্ট গড়ে তুলব,এখন সেটা তোমার হাতে,

(এই বলার পর সব ঠিক ঠাক হয়ে গেলো,অপুর আ্যামবি�

ন পুরো না হওয়া পর্যন্ত অপুকে বিয়ে করবে না)

�

র্টঃ৩৯, স্থান মন্দির, সময় দিন চরিত্রে চারজন( ঊর্মিলা, একটা ছেলে,রঘু,বিষ্ণু)

(রঘু আর বিষ্ণু বাজার থেকে তাদের বাসায় যাচ্ছে, তখন তারা বাইক থেকে দেখতে পাই একটা মন্দিরে ঊর্মিলা ও একটা ছেলে তারা বিয়ে করছে,এই দেখে দুইজন সেখানে যায়)

রঘুঃ আরে ঊর্মিলা তুমি এ কি করছ,

ঊর্মিলাঃ রঘু দয়া করে বাসার কাউকে বলে না,আমি পৃতমকে ছাড়া বাজব না,আমি একে খুব ভালোবাসি।

রঘুঃ হুম,ভালোবাসা,চুরি করে ভালোবাসা,তুমি জানো আজ তোমার জন্য তোমার আংকেলের মাথা কতটা হিট হয়ে গেলো,তোমার একটুও মনে পড়ল না তাদের কথা, জারা তোমাকে মেয়ের আসনে বসিয়েছে,আজ তাদের মুখে চুনকালি দিলে,এটা ভালোবাসা,একবারের জন্য আমাকে বলতে পারলে না,

(এই ভাবে অনেক কিছু বলার পর, ঊর্মিলা ও সেই ছেলে অর্থাৎ পৃতম রঘুর পা ধরে খমা চাচ্ছে)

রঘুঃ আমার পা ধরলে কাজ হবে না,চলো আংকেলের কাছে,

�

র্টঃ৪০ স্থান অপুদের বাড়ি,সময় দিন চরিত্রে সাতজন(অপু,বাবা,মা,ঊর্মিলা, পৃতম,রঘু,বিষ্ণু)

(বাড়ির কলিং বেল বাজানো পর অপুর মা দরজা খুলে দেখে ঊর্মিলা ও পৃতমের গলায় মালা,এই দেখে ঊর্মিলাকে ঠাক করে একটা থাপ্পড় দেয়,তারপর রঘু ঠেকাতে লাগে,সবাই অনেক সময় ভাবার পর,রঘু বলে)

রঘুঃ আংকেল ঊর্মিলা আপনার মেয়ে, তার জন্য আপনার কি করোনিও,তার ভালো মন্দ বিচার করার, আজ সে না হয় অপরাধ করেই ফেলেছে,তাই বলে তাকে দূরে ফেলে দিবেন না,কারন সে আপনাকে সম্মান করে বলেই আপনাকে বলতে পারিনি সে একটা ছেলেকে ভালো বাসে,

(এভাবে অনেক বোঝানোর পর বাবা মেনে নিলো তাদের বিয়েকে,ছেলেটার সম্পর্কে কিছু না জেনে �

ুনে)

কিছু দিন পর,,,,,,,,

�

র্টঃ৪১,স্থান অপুদের বাড়ি ও রাস্তা এবং কলেজ,সময় দিন,চরিত্রে চারজন(অপু,মা,বাবা,রঘু,সহ অনেক লোক)

(অপুর আজ পরিক্ষা, যদি পাস করতে পারে তো খুব বড় আর্টিস হবে,তাই বাড়ির সবাইকে আনন্দ করে প্রণাম করছে,এবং মা বাবা ও আজ খুব আনন্দে আছে,তারপর অপু তার বাইক নিয়ে চলে যাচ্ছে কলেজে রাস্তার মাঝে যার সাথে দেখা হচ্ছে তাকেই বলছে, আজ তার পরিক্ষা, সবাই অপুকে ভালোবাসত,ওদিকে কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে রঘু,কখন আসবে অপু সেই অপেক্ষায়, রাস্তার মধ্যে হুট করে ফোন বেজে ওঠে অপুর)

অপুঃ হ্যালো কে?

ফোনঃ আমাকে মেরে ফেলবে অপু তুই কোথায়,

অপুঃ ঊর্মিলা তোর কি হয়েছে তুই এরকম বলছিস কেনো?

Rate this script:0.0 / 0 votes