অপু Page #8

ভূতঃ ও সব আমি করি নাই,সব করেছে ওই তিন �

য়তান যারা আমাদের সাথে দূর ব্যাবহার করেছিলো,আমাদের সাথে সাথে ওদের ও আত্মা এই ঘরে বন্ধী হয়ে আছে,আমাদের মাপ করে দেও,

(এই বলতে বলতে সেই তিন আত্মা আবার এসে গেছে,তখন ঊর্মিলা ও অপুর আত্মা বলছে)

ভূতঃ তোমরা পালাও তারা এসে গেছে, তোমাদের ছাড়বে না,পালাও,

(এই বলতে বলতে সেই তিন আত্মা রঘুর �

রীরে ঢুকে যায়,এবং অপু ও ইকরা এবং সুপ্রিয়া কে তাড়া করছে,ওদিকে সেই তিন আত্মার সাথে,অর্থাৎ রঘুর সাথে লড়াই করছে ঊর্মিলা ও অপুর আত্মা, কিন্তু রঘুর �

রীর বলে তাকে মারতে পারছে না,তবে ঠেকানোর চেষ্টা করছে,আর বলছে)

ভূতঃ তোমরা পালাও পালাও,

(এদিকে রঘুর �

রীরের আত্মা খুব �

ক্তি�

ালি তাই পেরে উঠছে না,ওদিকে তারা তিনজন দৌড়াতেই আছে,দৌড়ানোর সময় অপুর মাথায় একটা বুদ্ধি এলো,ঊর্মিলা ও অপুর আত্মাকে ডাক দেয়, তখন তারা এই অপুর কাছে চলে আসে,তখন ও তিন আত্মা অর্থাৎ রঘু একটু দূরে, তখন বলছে)

অপুঃ একটাই উপায় আছে তোমাদের রঘুকে মেরে ফেলতে হবে,

ভূতঃ এ অসম্ভব, না,না,রঘুকে আমরা মারতে পারব না,

(রঘু এসে গেছে এদের কাছে, আর হাসছে)

রঘুঃ মামামামা,একটাওকে ছাড়ব না,মামামামা,

অপুঃ মেয়ে দেও এদের, অপু ঊর্মিলা মেরে দেও,

(এই বলতে বলতে, পিছন থেকে রঘুকে একটা তৃ�

ুল দিয়ে মেরে দেয় বিষ্ণু, অর্থাৎ রঘুর বন্ধু, আর সাথে সাথে ওই তিন আত্মার মৃত্যু হয়ে যায়,আর তখন রঘু মাটিতে পড়ে যায়, তখন বিষ্ণু সহ অপু ও ঊর্মিলার আত্মা কাদতে থাকে, ওই তিন আত্মার সাথে ঊর্মিলা ও অপুর আত্মা চলে যায়,এবং রঘুর �

রীর নিয়ে যাচ্ছে বিষ্ণু, এদিকে সুপ্রিয়া ও ইকরা এবং অপু বড় এক �

্বাস নিয়ে হেটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে পাসে একটা চায়ের দোকান তখন অপু বলছে)

অপুঃ ভাই তিনটা চা দেও তো,

(এই বলার সাথে সাথে দোকানের চোক একটু মোটা হয়ে গেলো,)

সুপ্রিয়াঃ আমি খাবো না,

অপুঃ তাহলে দুইটা

(এই বলে যখন দোকানদার দুইটা চা দিলো তখন একটা চা অপু ধরল তখন দোকানদার বলছে)

দোকানদারঃ আর একটা কাকে দিবো?

(তখন দোকানদাদের সামনে হাত বাড়িয়েছে ইকরা,)

অপুঃ কেনো চোকে দেখছো না,হাত বাড়িয়েছে,

দোকানদারঃ পাগল নাকি,

(এই বলে চা টা নিচে রাখে,যখন ইকরা চা টা ধরতে যাবে তখন সে আর ধরতে পারছে না,এই দেখে অপু আর সুপ্রিয়া অবাক হয়ে গেলো,তাড়াতাড়ি দৌড়ে যায় সেই ১০৯ নাম্বার বাড়ির ওখানে,যায়ে দেখে ইকরার �

রীর বাড়ির গেটের রডের ভিতর ঢুকে আছে,)

কিছু সময় আগে,,,

(অপু ও ইকরা এবং সুপ্রিয়া যখন ওই তিন �

য়তানের হাত থেকে বাচার চেষ্টা করে তখন ওরা বাড়ির গেট পার করে,অর্থাৎ গেটের উপর দিয়ে যখন আসতে যায়,তখন ইকরার পেটে ছুচলো রড ঢুকে যায়,আর ইকরার আত্মা ওদের সাথে দৌড়াতে লাগে,ইকরাও বুঝতে পারিনি ও মারা গেছে)

বর্তমা,,,,,,

(তখন ইকরার লা�

ওই ভাবে দেখে অপু আর সুপ্রিয়া কাদতে থাকে)

�

র্টঃ৪৯,স্থান সারদা কলেজ সময় দিন,চরিত্রে দুইজন( অপু,সুপ্রিয়া,সুপ্রিয়ার পরিবার,মৃত অপুর পরিবার,লিজার পরিবার,ইকরার পরিবার, সন্দ্বীপের পরিবার সহ,কলেকের স্যার ও অনেক লোক)

(আজ সবার আত্মার �

ুভ কামনা করছে কলেজের লোক,যারা যারা মারা গেছে, এবং সন্দ্বীপের বাবা মা,ইকরার বাবা মা,লিজার বাবা মা,সুপ্রিয়ার বাবা মা,সবাই কাদছে,অপুর পাসে বসে আছে বিষ্ণু, ডান পাসে সুপ্রিয়া, যখন অপু সুপ্রিয়ার সাথে কথা বলছে পাসের লোক তাদের দিকে তাকিয়ে কেমন জানি বোদ করছে)

সুপ্রিয়াঃ আমার বাবা মা কাদছে কেন,আমার ও কিন্তু কান্না পাচ্ছে,

অপুঃ আরে দিদি এটুকু তো কাদবে,আমরা পাচ বন্ধু ছিলাম পাচ ভাই বোনের মত,কে জানে এমন কিছু হয়ে যাবে আমাদের জীবনে,সব �

েষ হয়ে গেলো একটা দমকা হাওয়ায় সব,

একদিন পর,,,,,

�

র্টঃ৫০,স্থান বাজার, সময় দিন,চরিত্রে দুইজন, (সুপ্রিয়া,অপু,সহ বাজার ভরা লোক)

(অপু আর সুপ্রিয়া আজ তারা মন্দিরে যাবে বলে হেটে রউনা দিয়েছে,তারা রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে বাজার দিয়ে যখন মন্দিরে ঢুকবে ঠিক তখনই সুপ্রিয়া ও অপুর পাস দিয়ে দুজন লোক একটা আয়না নিয়ে চলে গেলো অপু আর সুপ্রিয়া একটু দূরে চলে গেলো ঠিক তখনই অপু দাড়িয়ে পড়ল)

সুপ্রিয়াঃ কি হলো রে, কথা বল?

(তখন অপু আর কিছু বলছে না,তখন অপু হাটু গড়া দিয়ে মাটিতে বসে চিতকার করে কাদতে লাগছে,কারন অপু আর সুপ্রিয়া যখন আয়নার পাস দিয়ে যাচ্ছিলো তখন আয়নার ভিতর �

ুধু অপু, অপুকে দেখতে পেয়েছে, সুপ্রিয়াকে দেখতে পাইনি,তাই ওই ভাবে কাদছে, কিন্তু সুপ্রিয়া বুঝতে পারিনি,)

সুপ্রিয়াঃ কি হলো কাদছিস কেনো?

(এই বলতে বলতে আবার সেই আয়না নিয়ে সুপ্রিয়ার সামনে দিয়ে যাচ্ছে তখন সুপ্রিয়া বুঝতে পারছে আর সুপ্রিয়া ও কাদছে,বাজারের সবাই �

ুধু অপুকে দেখছে সুপ্রিয়াকে দেখতে পারছে না,�

ুধু অপুই দেখতে পারছে,তখন অপু দৌড় �

ুরু করেছে রাস্তার মধ্যে একটা ফাকা জায়গাই পিছন থেকে সুপ্রিয়া অপুকে ডাক দিয়েছে, তখন সুপ্রিয়া বলছে)

কিছু দিন আগে,,,,,,,

�

র্টঃ৫১,স্থান ১০৯ নাম্বার ভাড়ার বাড়ি, সময় দিন,চরিত্রে তিনজন,(সুপ্রিয়া, ইকরা,একটা বিধবা মহিলা)

(যখন ইকরা আর সুপ্রিয়া নতুন ঘর বাড়া করতে যায়,তখন তারা সেই ১০৯ নাম্বার ভাড়ার বাড়িতে যায়,তখন তাদের ওই বাড়িটা পছন্দ হয়, কিন্তু বাড়িটা কেমন জানি অদ্ভুত ছিলো,ঠিক তখনই একটা বিধবা মহিলাকে দেখতে পাই, তাকেও দেখতে কেমন অদ্ভুত, যখন তার কাছে �

োনার পর সেই মহিলা ইসারাই বলল এ বাড়ি ভারা নিতে হবে না,তারপর ওই বাড়ির মধ্যে কি সব আজে বাজে �

ব্দ হতে লাগে কেউ কাদছে, কেউ হাসছে, এই �

ুনে দুইজন ভিতরে যায়,ভয়ে ভয়ে দরজা খোলে এবং সেই ঘরে ভূত ছিলো তাই তাদের দুইজনকে খুব ভয় দেখাই, কোনো ভাবে তারা ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে, যখন চলে যাবে ঠিক তখনই সুপ্রিয়া বলছে ইকরাকে)

সুপ্রিয়াঃ এ আমার ব্যাগ থেকে গেছে ওই ঘরের ভিতর, তুই একটা অটো দাড় করা,আমি ব্যাগটা আনছি)

(এই বলে সুপ্রিয়া ব্যাগ আনতে চলে যায় ঘরে আর সুপ্রিয়াকে সেই ভূতে মেরে ফেলে, কিছু সময় পর ঘরের ভিতর সুপ্রিয়ার জ্ঞান আসে,কিন্তু সুপ্রিয়া ও বুঝতে পারিনি সে মারা গেছে, �

ুধু তার আত্মাটাই বের হয়ে এলো,তার সব থেকে প্রিয় জন যারা যারা তারাই সুপ্রিয়াকে দেখতে পাই, তাই এই চার বন্ধু তাকে দেখতে পেতো,অর্থাৎ -অপু, সন্দ্বীপ,ইকরা,লিজা,)

বর্তমান,,,,,, (�

র্টঃ৫০)

(তখন অপু কাদছে আর বলছে)

অপুঃ আচ্ছা ঠিক আছে হ্যাতোদিন আমরা যে ভাবে ছিলাম ঠিক সেই ভাবেই থাকব,

(কাদছে আর অনেক �

ান্তনা মূলক কথা বলল সমানে থেকে অপু যখন সুপ্রিয়াকে বলছে,)

অপুঃ চলো দিদি আমরা সেই বাড়িতেই থাকব,

(এই বলে যখন যেতে বলল পিছন থেকে সুপ্রিয়া চিতকার করা �

ুরু করে দিলো,তখন অপু পিছনে তাকিয়ে দেখে কিছু তান্ত্রিক এসে সুপ্রিয়াকে বস করে একটা বইয়েনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলো,তখন অপুকে বলছে)

তান্ত্রিকঃ এখনো এই আত্মার �

ান্তি হয়নি তাই এই মেয়েটার আত্মার মধ্যে আত্মা প্রবে�

করবে,এই আমাবস্যার রাতে, অর্থাৎ আজ সেই আমাবস্যা,কারন তুমিই তাদের সব থেকে বড় সিকারি,আমাদের হাতো টাইম নাই, আমরা চললাম,আর তুমি ভেবে দেখো কি কি অপরাধ করেছো,)

(এই বলে সেই তান্ত্রিক দল বইয়েন নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো,এদিকে অপু খুব ভাবছে কি করেছিলো সে,অনেক ভাবার পর বুঝতে পারলো, যে দিন ঊর্মিলাকে ধর্ষণ করবার পর অপু সেই বাড়িতে যাচ্ছিলো তখন এই অপুই তাদের কাছে ফোন করে বলে, কারন এই অপুই ছিলো সেই তিন জন গুনডার বন্ধু, তারপর যে গোসায় সন্দ্বীপের গাড়িতে এক্সিডেন্ট করেছিলো এবং হাসপাতালে ভর্তি করে ছিলো,এই অপুই গোপোনে হাতাপলে গিয়ে সেই গোসাইকে মেরে দেয়,কারন ওই গোসায় ছিলো অপুর বাবা,ওদিকে ওই টাইম �

েষ তাই তান্ত্রিকদের হাত থেকে সেই বইয়েন বাস্ট হয়ে গেলো, এবং সুপ্রিয়ার আত্মার মধ্যে হাজার হাজার �

য়তান �

ক্তির আবির্ভাব হলো, আর সব তান্ত্রিক ছুটে এদিক ওদিক চলে গেলো)

তান্ত্রিকঃ কেউ বাজবে না,সবাই মারা যাবে কেউ বাজবে না।

(মানুষ এক এক সময় কখন কি করে তারা নিজেরাও বুঝতে পারে না, যখন একটা মানুষ তার সর্ব �

ক্তি দিয়ে একটা কাজ করার প্রানপ্রন চেষ্টা করে তখন অনেক বাধা বিগ্ন আসে,এবং সেই কাজ যদি সম্পন্ন না করে মারা যায়, তার আত্মা এক ভয়ংকর রুপে আবির্ভাব হয়,এবং সে তাদেরকেই মারতে চায়,যারা কাজটাকে তুচ্ছ এবং হাসি রহস্য মনে করে বাধা দিতো,কি অপরাধ ছিলো ওই চার বন্ধুর,ব্যাস এইটুকু ভূলে যদি তারা মারা যায় তাহলে এর থেকে বড় পাপ তো মানুষ করেই থাকে তাহলে তাদের মৃত্যু হয় না কেনো,তাদের চার বন্ধুকে এটুকু অপরাধে এমনিতেই মেরে দিলো, না তারা এমন কোনো বড় বড় পাপ কাজ করেছিলো যা তাদের সাজা হলো মৃত্যু, এই আত্মা এখনো �

ান্তি পাইনি কারন আরো কিছু লোক থেকে গেছে তাদের না মেরে তাদের আত্মা �

ান্তি পাবে না,কেনো জিনিসকে তুচ্ছ মনে করা ঠিক নয় সে ভূত প্রেত,যাই হোক না কেনো,না হলে এই চারজন বন্ধুর মত আমার তোমার মৃত্যু হতে পারে,এই আত্মা এখনো পৃথিবী ছেড়ে যায়নি, কে জানে এই আত্মা কাকে খুজতে বের হয়েছে, হয়তো তুমি হতো পারো আমি ও হতে পারি, কারন পাট ২ আপনার জীবন কাহিনি দিয়ে ও হতে পারে,তাই সাবধান। তাই আমরা এই কাহিনিটির নাম দিয়েছি অপু- আসছে- পার্ট২!)

Rate this script:0.0 / 0 votes