Tha Real Father Page #11

এলাকার লোকঃ হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ,

রূদ্রনীলঃ আহ,,সবাই থামো!আচ্ছা সুসমিতা তুমি জানো এখন তোমার পরিবার কোথায়?

সুসমিতাঃ ট্রেন স্টে�

নের দিকে গিয়েছে,

�

র্টঃ ৭২,স্থান ট্রেন স্টে�

ন, সময় সন্ধ্যা, চরিত্রে এগারোজন (বীরবিক্রম,রূদ্রনীল,রুকমনি,সুসমিতা,বীরপ্রতাপ,ভবানি,বীরবল্লবের ছেলে, বৌ,বীরপ্রতাপের মা,সিংহ সহ কিছু পুলি�

, এবং এলাকার লোক ও কিছু গুনডা,বীরভদ্র)

(তখন এলাকার  সবাই ট্রেন স্টে�

নে যায়,যায়ে দেখে পরিবারের সবাই দাড়িয়ে আছে,তখন বীরবিক্রম কে এলাকার লোক জুতা ঝাটা যে যে ভাবে পারে সেই ভাবে মরলো, এসব বীরবিক্রম নিরবে সয্য করে,তখন গাড়ি নিয়ে আসছে বীরপ্রতাপ এসে এলাকার লোকদের মারছে,রুদ্রনীল ও মারছে এখন দুজনের ভিতর খুব মারামারি হচ্ছে,  ঠিক তখনই  পুলি�

এসে বীরপ্রতাপকে ধরে রাখে আর বীরপ্রতাপ বলছে)

বীরপ্রতাপঃ আামার বাবাকে  ছেড়ে দে,

(তখন পুলি�

বীরপ্রতাপকে জোর করে ধরে রেখেছে আর বীরপ্রতাপ রেগে তার বোনকে বলে বীরপ্রতাপ)

বীরপ্রতাপঃ তোকে ছেড়ে দিবো না,দেখে নেবো তোকে, তুই আমার বোন না,�

ত্রু!

(তখন হুট করে ট্রেন আসছে,এবং বীরবিক্রম সবার অপমান সয্য করতে না পেরে সবার সামনে ট্রেনে সামনে ঝাপিয়ে পড়ে মারা যায়,বীরবিক্রম)

বীরপ্রতাপঃ বাবা,,,,,,,

( সেখানে পুলি�

বীরপ্রতাপকে ধরে রেখেছে, বীরপ্রতাপের গা দিয়ে ঘাম ঝরছে চোক লাল হয়ে গিয়েছে, আর পুলি�

   গুনডাদের লিডার ভবানিও বীরপ্রতাপকে নিয়ে গেলো, বীরবিক্রমের পরিবারে ছিলো তার ভাই বীরবল্লবের ছেলে বীরবেতাল বয়স পাঁচ বছর ও বীরবল্লবের স্ত্রী, বীরবিক্রম স্ত্রী অর্থাৎ বীরপ্রতাপের মা, সুসমিতা,তারা সবাই স্টে�

নে বসেই ছিলো, এদিকে এলাকার লোক বলতে �

ুরু করে দিলো)

এলাকার লোকঃ রূদ্রবাবু তাহলে এদের কি করব এখন,পুলি�

ে দিয়ে দিন,

রূদ্রনীলঃ না,দোস করেছে যারা তারা �

াস্তি পেয়েছে,তাড়াছা অপরাধ করেছে তারা এরা তো আর করেনি,এদের কোনো দোস নেই,আজ থেকে এরা সবাই আমার সাথে থাকবে,

দুইদিন পর..........

�

র্টঃ ৭৩,স্থান রূদ্রনীলদের বাড়ি,সময় দুপুর,চরিত্রে সাতজন, (রুকমনি, রূদ্রনীল,সুসমিতা,বীরভদ্র, সুসমিতার মা,বীরবল্লবের ছেলে, বৌ,ও এলাকার কিছু লোক)

( জমিদার বাড়ি ছেড়ে সুসমিতার পরিবার সহ সবাই রূদ্রনীলদের এখানে থাকে,কারন এলাকার লোক যদি কিছু করে সেই ভয়ে,কিছু সময় পর রূদ্রনীলের কাছে এলাকার কিছু লোক এলো এসে রূদ্রনীলকে বলছে   সুসমিতাকে বিয়ে করতে, সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে তাদের কথা �

ুনছে,আবার কেউ কেউ বলছে না,সুসমিতাকে বিয়ে করলে বিপদ হবে,কিন্তু এলাকার সবার সামনে রূদ্রনীল বলল)

এলাকার লোকঃ বাবু আমরা আপনার কাছে বলতে আসছি,আপনি সুসমিতাকে বিয়ে করে নতুন করে আবার বাচার চেষ্টা করেন,

অনন্য লোকঃ না,না, একই জাতের মেয়ে, যদি আবার রূদ্র বাবুর ক্ষতি করবার চেষ্টা করে,

রূদ্রনীলঃ না,আমি সুসমিতাকে বিয়ে করতে পারব না,তাছাড়া আমি রুকমনিকে ভালোবাসি এবং তার গর্ভে আামার সন্তান, কিন্তু হ্যাঁ সুসমিতাকে আমি যতেষ্ট খেয়াল রাখব সময় মত ভালো ছেলে পেলে বিয়ে ও দিয়ে দিবো,

বীরভদ্রঃ এখন তোমরা আসতে পারো,যাও,যাও।

( এতে এলাকার লোক সবাই রাজি হয়ে গেলো,)

কিছু দিন পর......

�

র্টঃ৭৪,স্থান হাসপাতাল, সময় দুপুর,চরিত্রে পাচজন (রুকমনি,রূদ্রনীল,বীরভদ্র, ডাক্তার, সহ এলাকার কিছু পুরুষ ও মহিলা)

( হাসপাতালে আজ রুকমনির সন্তান হবে খুব চিন্তায় আছে রূদ্রনীল সহ এলাকার লোক,সবাই হাসপাতালে, হুট করে  ডাক্তার বের হয়ে এলো,)

বীরভদ্রঃ ডাক্তার বাবু বৌদিমনির কি অবস্থা?

ডাক্তারঃ দুইটা ছেলে সন্তান হয়েছে পাচ মিনিটের ছোট্ট বড়,

( এ কথা �

োনার পর বীরভদ্র হাসপাতালের ছাদে চলে যায়,রূদ্রনীলকে সুখবর দিতে,কারণ হাসপাতালের ছাদে চিন্তায় ছিলো রূদ্রনীল, তাই ছাদে ছিলো,এই খবর �

ুনে রূদ্রনীল খুব খু�

ি হয়, তখন দৌড়ে চলে আসে রুকমনির কাছে  আর তাদের নাম রাখে চাদ আর তারা,  তখন রূদ্রনীল হাসপাতালের রুম থেকে দুই ছেলেকে কোলে করে দরজার সামনে এসে সবাইকে দেখাতে লাগে, তারপর এলাকার লোক রূদ্রনীলকে বলে)

এলাকার লোকঃ বাবু জমিদার বাড়ি ওটা আপনাদের আজ থেকে সেখানে আপনারা থাকবেন,

রূদ্রনীলঃ না,না, এ হতে পারে না,

এলাকার বুড়োঃ কেনো হতে পারে না,তোমার ঠাকুরদাদাদের সম্পত্তি ওটা এখন তোমার তাছাড়া বীরবিক্রম জোর করে তোমার পিসিমাকে ধর্ষণ করে তোমার ঠাকুর দাদাকে মেরে জমিদার বাড়ি কেড়ে নেই, তোমার বাবা সারা জীবন এসব বলে এসেছে,

(এ ধরনের অনেক ডায়লগ দেয় সবাই, তারপর রূদ্রনীল রাজি

হয় এবং জমিদার বাড়ির গেটের সামনে বড় করে লেখে RR. তখন কার সময় কেউ বুঝত কেউ বুঝত না,R-রূদ্রনীল.R- রুকমনি, বে�

ভালোই কাটছিলো মুধুপুরের এলাকার লোকের,)

�

র্টঃ৭৫,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় সকাল,চরিত্রে পাচজন,(সুসমিতা,রূদ্রনীল,বীরবল্লবের ছেলে,রূদ্রনীলের দুই ছেলে)

(একদিন রূদ্রনীল তার ছেলেদের সাথে  ঘরের বাইরে ফুলবাগানে খেলা করছে,তখন রূদ্রনীলকে বীরবল্লবের ছেলে দৌড়ে এসে বলে,তখন রূদ্রনীলের দুই ছেলের বয়স একবছর,আর বীরবল্লবের ছেলের বয়স আটবছর)

বীরবেতালঃ আমি খেলবো।

রূদ্রনীলঃ তুমিও খেলবে,আচ্ছা এসো,

( তখন সামনের দিকে তাকিয়ে ছেলেদের সাথে খেলছে রূদ্রনীল বীরবেতালকে হতোটা খেয়াল করি নাই,বীরবেতাল ছিলো  রূদ্রনীলের পিছনে,ঠিক তখন বীরবেতাল পিট থেকে লম্বা একটা ছুঁচলা রড বের করে,আর �

ুধু সেই সব পুরোনো কথা মনে পড়ছে কি ভাবে তার বাবাকে অপমান করেছিলো কি ভাবে তার জ্যাটামসায়কে অপমান করেছিলো, তখন জমিদার বাড়ির বেলকানি থেকে দেখতে পাই সুসমিতা দেখছে বীরবেতাল রড বের করছে,ঠিক তখনই সুসমিতা চিতকার করে,আর সুসমিতার চিতাকর �

ুনে পিছনের দিকে ঘুরে তাকায় রূদ্রনীল । ঠিক তখনই বীরবেতাল রডটা রূদ্রনীলের পেটে ঢুকিয়ে দিলো,আর রূদ্রনীল মাটিতে পড়ে গেলো আর বীরবেতাল পালিয়ে গেলো,তারপর রূদ্রনীলকে এলাকার লোক হাসপাতালে নিয়ে যায়, হাসপাতালে)

�

র্টঃ৭৬,স্থান হাসপাতাল, সময় দুপুর,চরিত্রে  চারজন,(রুকমনি,রূদ্রনীল,সুসমিতা,বীরভদ্র,সহ -পুলি�

,নেতা,এলাকার লোক,)

(হাসপাতালে অনেক লোক, পুলি�

বড় বড় নেতারা দেখতে আসছে রূদ্রনীলকে,রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে রূদ্রনীলের,কোথা ও রূদ্রনীলের গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায় না,অব�

েষে সুসমিতার রক্তের গ্রুপের সাথে মিলেছে,সুসমিতা রক্ত দেয়,এতে রুকমনি অখু�

ি হয়, যখন বাড়ি আসে রুমের ভিতর অভিমান করেছে রুকমনি)

�

র্টঃ৭৭,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় বিকাল,চরিত্রে দুইজন,(রুকমনি,রূদ্রনীল)

(রূদ্রনীল রুমের ভিতর �

ুয়ে আছে,তখন রুমের ভিতর রুকমনি গিয়ে রূদ্রনীলের পাসে �

ুয়ে বলছে)

রূদ্রনীলঃ আমর প্রতি রাগ হয়েছে বুঝি,

রুকমনিঃ হুম!

রূদ্রনীলঃ আমি জানি কেনো,সুসমিতা রক্ত দিয়ে আমাকে বাচিয়েছে,তাহলে তুমি চাওনা, আমি বেচে থাকি,

( এই বলার সাথে সাথে ঠাস করে থাপ্পড় দেয় ,রূদ্রনীলকে রুকমনি বলে)

রুকমনিঃ আমি কি সেটা বলেছি আমি তো বলতে চেয়েছি কেনো আমার রক্ত আর তোমার রক্ত এক হলো না,

( এই ভাবে অনেক প্রেম আলাপ হলো,তারপর রূদ্রনীল রুকমনিকে চুমু দিলো তখন একটা গান,)

দু'দিন পর....

�

র্টঃ৭৮,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় বিকাল,চরিত্রে পাচজন( রুকমনি,রূদ্রনীল,রুকমনির দুই ছেলে,রনজিত)

(ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ মুখে বলতে হবে)

( রুকমনি ছিলো খুব �

িক্ষিত,রুকমনির একটা দাদা ছিলো তার নাম রনজিত কুমার,সে ছিলো উকিল,ছোট্ট বেলায় তার মা বাবা মারা যায়,তখন থেকে রুকমনির দেখা �

োনা করে তার দাদাই,আর দু'জনই খুব �

িক্ষিত হয়,রনজিতের ইচ্ছে ছিলো তার বোনকে বড় উকিল করবে,কিন্তু তা আর হয়ে ওঠা হলো না,কারন রুকমনি রূদ্রনীলকে বিয়ে করে নেয়)

(,একদিন রনজিত জমিদার বাড়ি আসে,কেবল মাত্র জমিদার বাড়ি এলো দূর থেকে দেখতে পেয়েছে রুকমনি)

রুকমনিঃ হুম,,,,, দাদা তুই,

রনজিতঃ হ্যাঁ  রে এই ছোট্ট বোনটাকে দেখার জন্য মনটা কেমন করছিলো তাই আর রাগ অভিমান ধরে রাখতে চায় না,

( তখন সেই ছেলে দুটো এলো চাদ আর তারা)

রুকমনিঃ তোমাদের মামা, মামাকে প্রণাম করো,

রনজিতঃ আরে থাক, থাক, তোমরা কত বড় হয়ে গিয়েছ,

(তখন রূদ্রনীল চৌধুরী এলো সব ভালো মন্দ কথা হলো তারপর রনজিত বলছে)

রনজিতঃ রূদ্র আমি যে জন্য এখানে এসেছি, তোমার কাছে একটা অনুরোধ আমার বোনকে লেখা পড়া করতে দেও,আমার বাাবা মারা যাবার সময় বার বার বলেছিলো তোর বোনকে উকিল তৈরি করবি,তোমার পায়ে পড়ছি তিনটা   বছরের জন্য আমার বোনকে আমার হাতে তুলে দেও,

রূদ্রনীলঃ আরে আরে এ কি করছ তুমি আমার বড়,এটা তো ভালো কথা,যদি রুকমনি আমাকে নিজে মুখে বলতো আমি কি না করতাম পাগলের দল,

দুইদিন পর......

�

র্টঃ৭৯,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় সন্ধ্যা, চরিত্রে, পাচজন( সুসমিতা,রুকমনি,রূদ্রনীল,বীরভদ্র, সুসমিতার মা,বীরবল্লবের স্ত্রী,)

(রূদ্রনীল তারপর রাজি হয়ে গেলো, রুকমনির কিন্তু একটা সমস্যা ছিলো ছেলে দুটোকে নিয়ে,তাই তারা পরিবারের সবাই চিন্তায় ছিলো,হুট করে সুসমিতা রুকমনি কে বলল)

Rate this script:0.0 / 0 votes