Tha Real Father Page #5

বিদে�

িঃ ও টাইগার,,,,,,,,,

(এই বলার সাথে তারাও প্রণাম করে,যখন ভিতরে রূদ্রনীল যাবে ঠিক তখনই সুজয় রূদ্রনীলকে বাধা দেয়,সুজয় আগে গেলো গুনডাদের নিয়ে, সুজয় ভিতরে যাওয়া মাত্রই �

রদারের স্টাইল �

ুরু হয়ে গেলো আর উকিলের গুনডাদের কমেডি ডায়লগ মারতে লাগে,যখন  উকিল পক্ষের গুনডারা �

রদারকে মারবে তখন �

রদার হাতের ইসারাই থামতে বলে আর তখন �

রদার ডায়লগ মারে)

�

রদারঃ এ ,বে আমার কাছে  আসার আগে যে যার যার বৌ বাচ্চার কাছে �

েষ বারের মত ফোন করে কথা বলে নে,কারন আমি সেই পাগলা কুত্তা, যে পাগলা কুত্তার মুখ থেকে খাবার ছিনিয়ে নিলে হুংকার করে,

(তখন �

রদারের চামচা মনে মনে বলছে)

চামচাঃ কুত্তা, আবার হুংকার করে,�

ালা তেলাপোকা,

(আর �

রদার তখনই  উকিলের লোককে মেরে উকিল কে জোর করে নিয়ে আসতে আদে�

দেয় তার গুনডা দলকে)

�

রদারঃ এ,,, বে,ওপেন দ্যা এটাক,

(তখন �

রদারের লোক উকিলের লোককে মারতে যায় আর পাল্টা মারতে  আসে উকিলের গুনডারা , খুব মারে �

রদারের লোককে এই দেখে �

রদার মুতে দিলো,�

েষে সুজয় মারতে গেলো সুজয়কেও মেরে ঘরের বাইরে ফেলে দিলো আর সাথে সাথে রূদ্রনীল পিছন থেকে সুজয়কে ধরে বসে এবং উকিলের লোক আবার এসে সুজয়কে একটা রড দিয়ে মারতে যায়  তখনই রূদ্রনীল তার নিজের হাত দিয়ে ঠেকায় দেয়,কিছু সময় ধরে খুব মারামারি হচ্ছে, যখনই একটা গুনডাকে ঘাড়ে ঘুসি মারে রূদ্রনীল আর সেই গুনডাটা ছুটে চলে যায়  উকিলের কাছে, উকিল তখন ঘরের মধ্যে, দেখে গুনডাটা খুব ব্যাথা পেয়েছে , তখনই উকিল দেখতে পাই গুনডাটার ঘাড়ে ঘুসি মেরেছে, এই দেখে উকিল বুঝতে পেরেছে এই মারটা �

ুধু একজনই দেয়,তাই ছুটে আসে বাইরে এসে দেখে রূদ্রনীল চৌধুরী এবং উকিল ও মাথা নিচু করে প্রণাম করে, তারপর   রূদ্রনীলের পায়ে চুমু দেয় ও রুকমনির হাতে চুমু দেয় , উকিল খুব কাপতে লাগে,আর ভয়ে ভয়ে বলছে)

উকিলঃ কে কোথায় আছিস একটা চিয়ার নিয়ে আয়,

(তখন রূদ্রনীলকে একটা চিয়ার দিলো সেখানে খুব স্টাইল দিয়ে বসল রূদ্রনীল, আর রূদ্রনীলের বাহুতে রুকমনি বসে, মনে হচ্ছে কোনো এক রাজা,তখন উকিল মাথা নিচু করে  ভয়ে ভয়ে বলছে)

উকিলঃ দাদা বললে হতো আমি চলে যেতাম আমার অপরাধ?

( তারপর এসে গেলো বীরভদ্র। তখন বীরভদ্র সব বুঝায় বলে উকিলকে,)  (পিছনের সব �

্রীতি সট কাটে হবে)

কিছু সময় পর......

�

র্টঃ২৮,স্থান মধুপুর এলাকা,সময় বিকাল,চরিত্রে সাতজন,(রূদ্রনীল,রুকমনি,অজয়,সুজয়,মায়া,পার্বতী,বীরভদ্র, সহ এলাকার লোক ও কিছু বুড়ো বুড়ি)

(এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে লাগে রূদ্রনীল চৌধুরী আর রুকমনি ও মায়া,পার্বতী, সুজয়,অজয়, রূদ্রনীল সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভালো মন্দ জানার চেষ্টা করে, এসব দেখে তো ছেলেরা অবাক, আর তখনই এলাকার কিছু লোক যেমন বুড়ি বুড়ো এরকম কিছু লোক এসে রূদ্রনীলের ছেলেদের খুব আদর করতে লাগে কাদতেও লাগে, এবং তারা রূদ্রনীলের ছেলেদের তাদের বাসায় নিয়ে যায়, ওদিকে রূদ্রনীল রুকমনি এলাকা প্রদর্�

ন করছে)

�

র্টঃ২৯,স্থান বুড়োদের ভাঙ্গা ঘরের মধ্যে, সময় সন্ধ্যা,চরিত্রে চয়জন,(বুড়ো,বুড়ি,অজয়,সুজয়,মায়া,পার্বতী)

(সুজয়রা সেই বুড়োবুড়িদের ঘরে যায়ে দেখে তাদের ঘরের দেওয়ালে রূদ্রনীলের পুরোনো ফটো, আর রুকমনি আর রূদ্রনীলের এক সাথে একটা ফটো,অনেক লোকের ফটো বীর বীরভদ্র আর রূদ্রনীল,হঠাৎ অজয় আর সুজয় তাদের  স্ত্রীরা দেখতে পায় তাদের মায়েদের(সুসমিতা)ফটো দেখে খুব খু�

ি হয় একদম সূর্যমুখির মত দেখতে, কিন্তু একটা জিনিস দেখে ছেলে ও বৌয়েরা অবাক হয়ে গেলো,দেখে রূদ্রনীল আর বীরপ্রতাপের ফটো একসাথে মনে হচ্ছে তারা ভাই ভাই,অবাক হয়ে গেলো,তখন অজয় তাদের প্র�

্ন করে) 

অজয়ঃ এসব কি ভাবে আদেও সম্ভব?

বুড়িঃ কেনো তোমার বাবা  তোমাদের বলি নাই বীরপ্রতাপ আর তোমার বাবার বন্ধুত্বের কথা,

সুজয়ঃ কখনোই না,চিরো �

ত্রু আমাদের ওই বীরপ্রতাপ,হুম বন্ধু!

বুড়োঃ তাহলে �

োনো তোমার বাবার প্রিয়  বন্ধু �

ত্রু হলো কি ভাবে,

(তখন সেই বুড়ো বুড়িরা ইতিহাস বলা �

ুরু করে দিলো,কি হয়েছিলো তাদের মধ্যে)

৩২ বছর আগে........

�

র্টঃ৩০,স্থান মধুপুর  পূজা অনুষ্ঠানে মেলা হচ্ছে- লড়াইয়ের ময়দান,সময় দুপুর,চরিত্রে আটজন সহ এলাকার লোক( বীরবিক্রম, বীরবল্লব,বীপ্রতাপ,সুসমিতা,বীরবিক্রমের স্ত্রী, বীরবল্লবের স্ত্রী ও ছেলে,বিপক্ষ পালোয়ান, সহ এলাকার লোক)

(ভয়েস,ও ভিডিও �

র্ট)

( মধুপুর! প্রতি বছর এই এলাকায় বি�

াল মেলা হয়,সেই উপলক্ষে একটা কুস্তি লড়ায় ও হয়,এ লড়ায়ে কোনো গরীব পালওয়ান লড়তে পারে না,এই এলাকায় প্রধান  ছিলেন বীরবিক্রম,  বীরবিক্রমের দুই ছেলে মেয়ে,  তার ছেলের নাম বীরপ্রতাপ,এবং  তার মেয়ে ছিলেন সুসমিতা,পরিবার সহ আজ এই মেলায় তারা এসেছেন,লড়াই দেখতে। এই লড়াইতে দুই পালওয়ান, বীরবিক্রমের ছোট্ট ভাই বীরবল্লব এবং তার বিপরিতে অনন্য এলাকার প্রধানের ছেলে পালওয়ান। �

ুরু হয়ে গেলো কুস্তি লড়াই,প্রচুর লোক দেখছে আর হাতে তালি মারছে, এবং বীরবিক্রমের পরিবার সবাই দেখছে, লড়াই চলছে,অব�

েষে বীরবল্লব তার বিপক্ষকে মাটিতে �

ুইয়ে দিলো ওদিকে  বিপক্ষ পালোয়ান ঠোগে গেলো, এবং বীরবল্লব জিতে গিয়ে খু�

িতে চিতকার করে বলতে লাগে)

বীরবল্লবঃ কেউ কি আছে আমার সাথে লড়াই করতে চায়

(কিন্তু এলাকার লোক তো তাদের ভয়ে ভাত ও খায় না,কি ভাবে লড়বে, তাই যখন বীরবল্লব এই কথা বলল তখন কিছু কিছু লোক ধিরে ধিরে একে অপরকে বলতে লাগে,প্রতিবছর তো তুই -ই জিতিস, কেউ খেলতে চাইলেই কি আর দিবে তোর দাদা খেলতে,এই কথা আবার �

ুনতে পাই বীরবল্লব, �

োনার পর রেগে গিয়ে সবাইকে বলতে লাগে,)

বীরবল্লবঃ কে বলল এই কথা বল?

( সবাই খুব ভয় পেয়ে গেলো যাকে তাকে মারতে যায়, দৌড়ে দৌড়ে,  তারপর বীরবল্লব রেগে গিয়ে বলে)

বীরবল্লবঃ আচ্ছা ঠিক আছে তবে তাই হোক,আছে কারুর বুকের পাটা আমার সাথে লড়বে, আজ এ এলাকার যে কেউ লড়তে চাইলে আমর সাথে লড়তে পারে আছে কেউ?

�

র্টঃ৩১,স্থান একই ময়দান,সময় একই,চরিত্রে নয়জন,(বীরবিক্রমও তার স্ত্রী, বীরপ্রতাপ,বীরবল্লব ছেলে বৌ,সুসনিতা,রূদ্রনীল,বিমলা,সহ এলাকার লোক,)

( তখন প্রচুর লোকের মাঝ থেকে কেউ একজন হাত উচু করে বলে আছে,এই কথা �

োনার পর সবাই তো ভয় পেয়েই গেলো,হঠাৎ একথা �

োনার পর বীরবিক্রম চিয়ার থেকে দাড়িয়ে পড়ল,তখনই হাত উচু করা বেক্তি হিরোর মত লোকের মধ্যে থেকে স্টাইলে সামনে আসছে- সবাই সাইট হয়ে যাচ্ছে, তারপর এলাকার লোক দেখে তাদের বিমলা,( কমেডিয়ান)  এই দেখে সবাই হাতসে লাগে। কিন্তু তার পিছনে ছিলো রূদ্রনীল, তখন সবাই জয়জয়কার করতে লাগে,ময়দানে নামার সাথে সাথে কেমন জানি ময়দানই কেপে উঠে,�

ুরু হয়ে গেলো কুস্তি লড়ায়, সবাই জয়জয়কার করতে লাগে রূদ্রনীলের। যখনই রূদ্রনীলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো তখন সবাই চুপ হয়ে গেলো �

ুধু বীরবল্লব একাই চিতকার করতে লাগে,ফের যখন রূদ্রনীল উঠে দৌড়ে এসে বীরবল্লবকে একটা ঘুসি মারে ঘাড়ে আর মাটিতে পড়ে বীরবল্লব কাপতে লাগে এবং রূদ্রনীল জিতে যায়,এই হার বীরবিক্রম ছেলে বৌ ও পরিবারের সামনে খুব অপমান মনে করে আর সেখান থেকে চলে যায়,বীরবল্লবের খুব রাগ ও লজ্জা পাই, যাওয়ার সময় ই�

ারাই রূদ্রনীলকে মারার ধমক দেয়,জিতা মাত্রই এলাকার লোক ও বিমলা ছুটে এসে কাধে নিয়ে জয় পালওয়ান রূদ্রনীলের জয়, এই করতে লাগে,)

�

র্টঃ৩২,স্থান রূদ্রনীল ছোট্ট একটা ঘর,সময় সন্ধ্যা রাত,চরিত্রে পাচজন,( রূদ্রনীল,রূদ্রনীলের বাবা,রূদ্রনীলের মা,রূদ্রনীলের বোন,ও ঠাকুরমা)

(রাতে যখন রূদ্রনীল তার বাসায় যায় তখন তার মা বাবা  তাকে খুব বোকতে লাগে)

মাঃ কেনো তুই ওদের সাথে লড়াই করতে গেলি,তুই জানিস না, বীরবল্লব একটা রাক্ষস দিনে দুপুরে মানুষ মারে,

বাবাঃ আহ রূদ্রর মা তুমি চুপ করো তো,কত বছর ধরে এই মেলায় একই মানুষ কুস্তিতে জিতে আসছে,লড়াই করবার মত পালওয়ান থাকলেও তাদের ভয়ে কেউ লড়তে চায় না,আজ আমাদের ছেলে সেরকেই হারিয়ে দিয়েছে,আনন্দ করবে তা না, ছেলে কে �

ুধু ভয় দে,মাছের বড় মাথাটা আজ রূদ্রনীল খাবে,

( তখন রূদ্রনীলের বোন  বলে উঠলো)

পুস্পবতিঃ তাহলে কালকে আমি গিয়ে বীরবল্লবকে মারব তাহলে বড় মাছের মাথাটা খেতে পারব,

( এই বলার সাথে পরিবারের সবাই হাসতে লাগে আর তখনই রূদ্রনীল মাছের মাথার অর্ধেকটা তার বোনকে দেয়,রূদ্রনীল তার বোনকে খুব ভালো বাসে)

(ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ মুখে বলতে হবে)

(  রূদ্রনীলের  বাবা খুব গরীব তার বাবা পোস্ট ম্যান ছিলেন, গরীব হলেও ভালো মানুষ ছিলেন তাকে এলাকার সবাই সম্মান করতেন  কখনো অসম্মান হয়নি এই পর্যন্ত কারুর কাছে, নাম ছিলো মানিকনীল চৌধুরী,  সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের সব সময় বলতেন তারা নাকি একসময় জমিদার ছিলেন।)

৬০বছর আগে-১৯৩০সাল......

(ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ মুখে বলতে হবে)

Rate this script:0.0 / 0 votes