Tha Real Father Page #6

(মানিকনীল চৌধুরীর বাবার নাম ছিলো  জমিদার মহননীল চৌধুরী, মহননীল চৌধুরী যখন বিয়ে করে দুবছর পর তার স্ত্রী যখন গর্ভবতী তখন একটা দূর্ঘটনায় তার স্ত্রী মৃত্যুের সংঘে লড়ায় করতে করতে একটা পুত্র সন্তান জন্ম দেয়, এবং মারা যায়,সেই সন্তানকে লালন পালন করে মহননীল চৌধুরীর  ছোট্ট বোন নির্মলা চৌধুরী,  ওদিকে মহননীল চৌধুরীর মনের মানুষ ও কাছের মানুষ ছিলেন বীরভবানি,অর্থাৎ বীরবিক্রমের বাবা, মানিকনীল চৌধুরীর বাবা মহননীল চৌধুরী বীরবিক্রমের বাবা অর্থাৎ  বীরভবানিকে খুব বি�

্বাস এবং ভালোবাসতেন)

�

র্টঃ৩৩,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে তিনজন, সহ জমিদারবাড়ির বিয়ের অতিথি, ( মহননীল,বীরভবানি,নির্মলা,সহ জমিদারবাড়ির লোক)

(একদিন রাতে  জমিদার বাড়ি মনহনীল চৌধুরীর বোনের বিয়ে হচ্ছিলো, সেই রাতে বীরভবানি  মহননীল চৌধুরীর বোনকে অর্থাৎ নির্মলাকে দেখে আর লোভ সামলাতে না পেরে বিয়ের দিন তাকে ধর্ষন করে,  ওইদিন রাতে নির্মলা নিজের রুমে বিয়ের সাজা সাজছে তখন ওই রুমের পাস দিয়ে বীরভবানি যাচ্ছে,ঠিক তখন বীরভবানি জানালা দিয়ে দেখে হুট করে নির্মলার রুমে ঢুকে গেলো,তখন নির্মলা পিছনে তাকিয়ে বলছে)

নির্মলাঃ আরে দাদা তুমি এই তো হয়ে গেলো এখনই যাচ্ছে, দাদা খুব বকছে তাই না,

বীরভবানিঃ না না,ব্যাস্ত কিসের দেরি হোক না, সমস্যা কি?

নির্মলাঃ আমি ঠিক বুঝলাম না,এ কি দাদা তুমি দরজা বন্ধ করছ কেনো?

বীরভবানিঃ কাউকে বলব না,এসো নির্মলা,

নির্মলাঃ এ কি করছ ছাড়ো দাদা,আমাকে ছাড়ো,এই �

য়তান আমাকে ছাড়,দাদাকে সব বলে দিবো ছাড় আমাকে,

বীরভবানিঃ দাদাকে বলবি হুম দাদাকে হা,হা,হা,

(এই বলে নির্মলাকে ধর্ষন করছে তখন মহননীল নির্মলার কাছেই আসছে কেনো হ্যাতো দেরি করছে,তখন মহননীল নির্মলার রুমের কাছে এসে দেখে দরজা দেওয়া আর রুমের ভিতর নির্মলা চিতকার করছে,যখনই মহননীল দরজা ভেঙ্গে রুমের ভিতর যায় তখন দেখে বীরভবানি নির্মলার পেটে একটা কাচের গ্লাস ঢুকিয়ে দিয়েছে,তখন বীরভবানিকে ধাক্কা দিয়ে মহননীল বোনকে ধরে আর কেদে কেদে বলছে)

মহননীলঃ বীর এ তুই করলি,আমি তোকে আমার ভায়ের মত ভালোবাসি আর তুই,,তোকে ছাড়ব না,

বীরভবানিঃ আহ,,,আমার ভূল হয়ে গিয়েছে, আমাকে খমা করে দে,

মহননীলঃ ভূল,আজ আমার বোনের বিয়ে,,তোকে ছাড়ব না,তোকে ফাসিতে দিব,

বীরভবানিঃ দয়া করে আমাকে মাপ করে দে,

(বীরভবানি খমা চাচ্ছে আর ভয়ে ছটপট করছে ঘামও ঝরছে কি করবে বুঝে পারছে না,তাই হুট করে পিছন দিয়ে সেই গ্লাস দিয়ে মহননীলের মাথায় বার বার,ঢুকাতে লাগে এবং মহননীল মারা যায়,তারপর দরজা বন্ধ করে বীরভবানি চলে আসে বেলকানিতে,বেলকানি থেকে দেখে নিচে অনেক লোক কি করবে বুঝে পারছে না,তখন আবার যায়,সেই রুমে,গিয়ে ওইখানেই দুজনকে পুতে দেয়,সব কিছু আগের মত করে দেয়,নিজে ফ্রে�

হয়ে এসে,লোকের মধ্যে মহননীলের ছেলেকে কোলে নিয়ে কেদে কেদে সবাইকে বলছে)

বীরভবানিঃ কি বলব সবাকে,আজ আমার এমন লাগছে মনে হচ্ছে নিজেকে �

েষ করে দেয়, �

ুধু একটা কারনে আজ আমাদের সবাইকে ঠকিয়ে চলে গিয়েছে আমার আত্মা, কেনো গিয়েছে এই ভাবে একবার যদি বলে যেত,মহননীল আর তার বোন আমাদের সবাইকে ছেড়ে চিরোদিনের জন্য  এ এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে,কি হবে এই বাচ্চাটার,কি হবে,

এলাকার লোকঃ হঠাৎ এ ভাবে কেনো গিলো,

বীরভবানিঃ আমি জানি না,আমি ও চলে যাবো,আমার বন্ধুই যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে আমি থেকে কি করব,

এলাকার লোকঃ না,না,আপনি এভাবে চলে গেলে মানিকনীলকে কে দেখবে,বাবু আজ থেকে জমিদার বাড়ি আপনি সামলান,আর মহননীল চৌধুরীর ছেলেকে আপনিই দেখবেন,

(তাই মানিকনীলকে নিজের ছেলের মত পালন করতে লাগে।)

কিছুদি পর.........

�

র্টঃ৩৪,স্থান জমিদার বাড়ি- ,সময় বিকাল,চরিত্রে তিনজন,(বীরভবানি চামচা, মানিকনীল,)

(একটা চিয়ারে বসে �

ুয়ে আছে বীরভবানি,তখন একটা চামচা দৌড়ে এসে বীরভবানিকে বলল)

চামচাঃ বাবু,বাবু- এলাকার লোক বলা বলি করছে,মানিকনীল বাবুর যখন বয়স হবে তখন তার জমিদারি আপনার ফিরিয়ে দেওলা লাগবে,

(এই বলার সাথে বীরভবানি চিয়ার থেকে উঠে চামচার কলার্ট ধরে বলছে)

বীরভবানিঃ আমি সত্যি বলছি বাবু এলাকার লোক এসব বলছে,নিজে কানে �

ুনেছি,

বীরভবানিঃ মানিক তো দূর,এ এলাকার কেউ যদি আমার মজিদার বাড়ির দিয়ে চোক তুলে তাকায়,তাহলে তার চোখ তুলে দিবো,

(এই বলে চামচাকে ধাক্কা দিলো,এবং সারা দিন ভাবতে লাগল কি করা যায়,)

কিছু ঘন্টা পর.....

�

র্টঃ৩৫,স্থান জমিদার বাড়ি,সময় সন্ধ্যা, চরিত্রে দুইজন,(বীরভবানি,মানিকনীল)

(মানিকনীল একটা রুমে বসে খেলনা নিয়ে খেলা করছে তখন সেই রুমে বীরভবানি যায়)

বীরভবানিঃমানিক কি করছ?

মানিকনীলঃ কাকু আমার  যে আমার পিসিমা ও বাবাকে মেরেছে তাকে মারছি,

বীরভবানিঃ আচ্ছা তুমি কি করে জানলে যে তোমার বাবা পিসিমা মারা গিয়েছে,

মানিকনীলঃ যদি আমার পিসিমা মারা না যেতো,তাহলে হ্যাতোদিনে আমাকে একা রেখে থাকতেই পারত না,তাই এই খেলনাটা আমি আর ওই খেনলাটা আমার বাবা পিসিমাকে যে মেরেছে সে,

বীরভবানিঃ আচ্ছা আমরা একটা খেলা খেলি,এই খেলনাটা আমি আর ওটা তুমি, যে খেলনটা তোমার পিসি ও বাবাকে মেরেছে ধরে নেও ওটা আমি,এখন আমি তোমার ওই খেলনাটাকে মেরে দিবো অর্থাৎ তোমাকে,কারন তোমার ওই  খেলনা এখানে থাকলে  আমার খেলনার বন্ধু থাকতে পারবে না,অর্থাৎ আমাকে মেরে দিলে আমার ছেলে রাজত্ব করতে পারবে না,তাই আগেই আমার খেলনা তোমার পিসিমাকে আর তোমার বাবা �

ুধু মারি নাই,তোমার পিসিমাকে ধর্ষণ করে সেই রুমেই পুতে দিয়েছে, �

ুধু জমিদারি পাবার জন্য, এখন ধরো তোমার খেনলাকে আমার খেনলা না মারে তাহলে আমার খেনলার ছেলে পরবর্তীতে রাজত্ব করতে পারবে না,তাই আমার খেনলা তোমাকে মেরে দিবে,তোমার খেনলাকে যদি বাচাতে চাও তাহলে ওকে লুকিয়ে নেও,

(ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ মুখে বলতে হবে)

(তখন ওই সাত বছরের মানিকনীল সব বুঝতে পারে,আর ভয়ে কাপতে থাকে,বীরভবানি মানিকনীলকে সব বলে দিলো,তার কারন তাকে এই জমিদার বাড়ির সব অর্থ সম্পাদ দিতে হবে,এদিকে বীরভবানির দুই ছেলে, ছেলে বীরবিক্রম,ছোট্ট ছেলে বীরবল্লব,বড় ছেলে বীরবিক্রম ।  বড় হয়ে জমিদার হতে পারবে না বলে,সব কিছু বলে দিলো মানিকনীল  চৌধুরীকে, সেই সময় মানিকনীলের বয়স সাত বছর।  কি ভাবে তার বাবা ও পিসিমাকে মেরেছিলো,ভবানি আরো ভয় দেয় সে যদি এখানে থেকে চলে না যায় তাহলে ওকেও তার বাবা ও পিসিমায়ের মত মেরে দিবে, তখন মানিকনীল চৌধুরী খুব ভয় পেয়ে যায়,  তাই ভবানির ভয়ে জমিদার বাড়ি ছেড়ে রাতে পালিয়ে ওই এলাকার �

েষ মাথায় গিয়ে  বসে ছিলেন,)

�

র্টঃ৩৬,স্থান এলাকার বাইরে ফাকা জায়গা,সময় রাত,চরিত্রে দুইজন,(মানিকনীল,এবং একটা বিধবা মহিলা

(মানিকনীল রাস্তার পাসে বসে আছে নির্জন জায়গা ভয়ও করছে,হুট করে একটা মহিলা আসছে,মানিকনীলে কাছে  এসে দাড়িয়েছে, বিধবা মহিলাটা দেখেই বুঝতে পেরেছে জমিদার মহননীল চৌধুরীর ছেলে মানিকনীল চৌধুরী)

বিধবাঃ আরে বাবা হ্যাতো রাতে তুমি এখানে কি হয়েছে?

(তখন মানিকনীল সব কিছু খুলে বলে মহিলাকে,সটকাটে,তখন মহিলাটা বলছে)

বিধবাঃ চুপ,চপু,এসব কেউ �

ুনতে পারলে তোমাকে মেরে দিবে,আজ থেকে তুমি আমার সন্তান, তুমি কোনো জমিদার নও,

(তারপর মানিকনীল কে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়,সেই বিধবা মহিলা মানিকনীলকে ছেলের মত মানুষ করে, যখন বড় হয়ে যায় তখন তাকে তার সেই বিধবা মহিলা অর্থাৎ পালিত মা- মানিকনীলকে বিয়ে দিয়ে দিলো ,মানিকনীলকে সামান্য লেখা পড়া �

িখেয়েছিল। তাই মানিকনীলের এক সময় পোস্ট ম্যানের চাকরি হয়ে যায়,আর মানিকনীল যাকে বিয়ে করে, তাকে ভালোবেসেছে বিয়ে করেছিলো কারন মানিকনীল যখন সাইকেলে করে  প্রত্যেকদিন পোস্ট করতে  একই রাস্তা দিয়ে যেতো, এবং প্রত্যেক মাসে চিটি দিতে যেতে একটা মেয়েদের বাড়ি নাম ছিলো প্রেমা,তার বাবা বাইরে কাজ করতো তাই প্রতি মাসে চিঠি পাঠাতো,এই করতে করতে মানিকনীল আর প্রেমা দুজন দুজনকে ভালো বেসে নেয়,এবং তাদের দুজনকে বিয়ে দিয়ে দিলো তার সেই বুধবা মা,ওদিকে বীরভবানি ভেবেছিলো মহননীল চৌধুরীর ছেলে মানিকনীল চৌধুরী হয়তো মারা গিয়েছে ভয়ে, আর তখন সেখানকার জমিদার বীরভবানি)

৬০বছর পর,- বর্তমান.......

�

র্টঃ৩৭,স্থান মধুপুর মানিকনীলদের ঘরের মধ্যে, সময় রাত,চরিত্রে পাচজন,(রূদ্রনীল,বোন,মা,বাবা,বিধবা ঠাকুরমা,)

(ভয়েস �

র্ট,অর্থাৎ মুখে বলতে হবে)

( এই এক গল্প সব সময় মানিকনীল তার ছেলে মেয়েকে বলত, বাবার এই গল্প �

ুনে রূদ্রনীল চিন্তা করা �

ুরু করে দিলো কি ভাবে তার বাপ ঠাকুরদার জমিদারি ফিরিয়ে নিবে,সেই সময় রূদ্রনীলের বসয় ২৫ বছর। তখন কার সময় বীরবিক্রম ছিলো এলাকার প্রধান,এবং  তার এলাকার লোকদের খুব কষ্টে  ভয়ে রাখতেন, সবাই বীরবিক্রমকে খুব ভয় আর সম্মান করতেন,কিন্তু তার ছোট্ট ভাই বীরবল্লব ছিলো একটা রাক্ষস তাই তাকে সবাই ভয় পেতো,)

�

র্টঃ৩৮,স্থান মধুপুর বাজার,সময় দুপুর,চরিত্রে তিনজন,সহ কিছু গুনডা,(রূদ্রনীল,একটা বুড়ো,বিমলা)

Rate this script:0.0 / 0 votes