Tha Real Father Page #7

(একদিন এলাকায় বীরবল্লব কিছু গুনডা ও একটা গাড়িতে করে আসছিলো কর আদায় করতে,তখন সবাই ভয়ে এদিক ওদিক হতে লাগে, সেখানে রূদ্রনীল ও বিমলা ছিলো, রূদ্রনীলের হাতে বাজারের ব্যাগ এবং বিমলার কাধে লাউ)

বীরবল্লবঃ এই এলাকার সবাই �

োন - আজ আর কালকের মধ্যে যে যে আমাদের টাকা না দিবে তাদের কড়া �

াস্তির ব্যবস্থা করেছে আমার দাদা,যদি কেউ চালাকি করবার চেষ্টা করিস তার খবর আছে,

(অনেক ডায়লগ দিলো ভয় ও দিলো তখন একটা লোক বীরবল্লবের গাড়ির সামনে দূর থেকে বীরবল্লবকে বলল)

একটা লোকঃ বাবা কাল আমার মেয়ের বিয়ে কি ভাবে আমি টাকাটা দিবো আমাকে এ মাসের টাকাটা ছেড়ে দিলে খুব উপকার হবে,

বীরবল্লবঃ এই বুড়ো এদিকে আয়,

( তখন সে লোকটা ধিরে ধিরে ভয়ে তার কাছে গেলো)

বীরবল্লবঃ এই �

োন কাল যদি টাকাটা না দিস তোর তো �

াস্তি হবে,হ্যাঁ একটা কাজ করতে পারিস, তাহলে ছাড় দিতে পারি,বিয়ে তো কাল তাই না,আজ রাতে তোর মেয়েকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিস,

( এই কথা বলার পর গুনডারা সহ বীরবল্লব ও হাসতে লাগে,আর সেই লোকটা কিছু না বলে কাদতে কাদতে চলে যায়,এই দেখে রূদ্রনীল মনে মনে খুব রাগতে লাগে,আর ভাবতে লাগে আজ এই খানে থাকার কথা তার, যেখানে আজ বীরবল্লব রাজ করছে,মনে মনে লোভ হতে লাগে রূদ্রনীলের,আর যখন সবাইকে হুমকি দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যাবে বীরবল্লব, তখন গাড়িটা রূদ্রনীলের সামনে গিয়ে দাড় করালো,আর বলছে)

বীরবল্লবঃ আর তোকে তো পরে দেখে নিবো,সেদিন আমাকে ঠকিয়ে তুই ভালো কাজ করিস নাই,তোর কপাল ভালো আজ �

ুধু বীরপ্রতাপের কথায় তুই বেচে আসছিস,

( এই বলে আর অনেক ধমকি দিয়ে চলে যায়,যখন গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে গাড়ি থেকে একটা গুনডা হাতের ই�

ারায় বলছে রূদ্রনীলকে তার গলা কেটে দিবে,,)

�

র্টঃ৩৯,স্থান জঙ্গল, সময় বিকাল,চরিত্রে দুইজন,(রূদ্রনীল,বীরপ্রতাপ,) (মিড �

র্ট,ফ্রেমে দুইজন একসাথে)

(বিকাল বেলা এলাকার পাসে বড় একটা জঙ্গল সেখানে বসে রূদ্রনীল আর বীরপ্রতাপ আড্ডা দিচ্ছে , তারা ছিলো একে অপরের আত্মা,)

বীরপ্রতাপঃ জানিস বন্ধু তোকে আমার পরিবারের কেউ দু চোখে দেখতে পারেনা,তুই কুস্তি জিতে নাকি আমাদের অপমান করেছিস,

রূদ্রনীলঃ তাহলে তো তুই ও আমাকে চোখে দেখতে পারিস না,

বীরপ্রতাপঃ দূর পাগল তোকে ছাড়া আমি থাকতেই পারি না,

( এই ভাবে আরো অনেক ভালোবাসার কথা চলল,)

�

র্টঃ৪০,স্থান �

রদা কলেজ,সময় সকাল,চরিত্রে তিনজন, সহ আরো ছাত্র ছাত্রী  একই ক্লাসে, বীরপ্রতাপ,রূদ্রনীল,স্যার, আরো ছাত্র ছাত্রী)

( দুজন কলেজে গিয়ে ক্লাস করছে,তখন কানে কানে বীরপ্রতাপ রূদ্রনীলকে বলছে বীরপ্রতাপ রূদ্রনীলকে বলছে,ধিরে ধিরে)

বীরপ্রতাপঃ আজ আমাদের বাড়ি  অনুষ্ঠান হবে তোকে নিয়ে যাবো,

রূদ্রনীলঃ আমাকে দেখলে তোর পরিবার আমাকে মেরেই ফেলবে,

বীরপ্রতাপঃ বুঝতে পারলে তো,তোকে ছদ্দবে�

ে নিয়ে যাবো,

স্যারঃ রূদ্র, বীর, কি হচ্ছে

রূদ্রনীলঃ স্যার, স্যার, কিছু না স্যার

স্যারঃ দুজনেই আমার ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাও!

( তখনই ক্লাস হচ্ছে, তাই স্যার দেখতে পায় তারা ফুস ফুস করছে,তাই স্যার দুজনকে ক্লাস থেকে বের করে দিলো)

�

র্টঃ৪১,স্থান কলেজের রাস্তার পা�

ে একটা চায়ের দোকান সহ আরো অনন্য জায়গা,সময় দুপুর,চরিত্রে তিনজন,(রূদ্রনীল,বীরপ্রতাপ,চা ওয়ালা,)

(তারা তখন চায়ের দোকানে গিয়ে  একটা সিগারেট দুইজন ভাগ করে খেতে লাগে, ওইদিন সারাদিন ধরে তারা আনন্দ করতে লাগে,গান চলছে,,,,,,,,৷  গান �

েষ,)

�

র্টঃ ৪২,স্থান জমিদারবাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে চয়জন,সহ আরো অনেক লোক,)

(রাতে রূদ্রনীল ছদ্মবে�

ে  বীরপ্রতাপের কথায় জমিদার বাড়ি ঢোকে, অনেক লোকও এসেছে, বীরপ্রতাপকে কোথায়ও পাচ্ছে না,তাই এদিকে ওদিকে খুজতে যায়, দেওয়ালে ফটো আর তরোয়াল এবং বড় রাজবাড়ী দেখে রূদ্রনীলের চোক মাথায় উঠে গিয়েছে, দেখতে দেখতে হুট হাট করে মাঝে মধ্যে দারোয়ান চলে আসছে আর ভয়ে রূদ্রনীল পালিয়ে পড়ছে,এই রাজ বাড়ি প্রদর্�

ন করতে করতে রূদ্রনীলের মনে বি�

াল লোভ এসে যায়,হুট করে পিছন থেকে রূদ্রনীলের ঘারে হাত রাখে ভয়ে পিছনে না তাকিয়ে তাকে ঘুসি মারে তারপর পিছনে তাকিয়ে দেখে বীরপ্রতাপ,তখন রূদ্রনীল তারপর খমা চেয়ে নাই,ধিরে ধিরে বলছে)

বীরপ্রতাপঃ হু, হু হু

রূদ্রনীলঃ আমাকে খমা কর ভাই, আমি ভেবেছি দারোয়ান,

( রূদ্রনীল ছদ্দবে�

ে এসেছে,তারপর বীরপ্রতাপ রূদ্রনীলকে সবার মাঝে নিয়ে যায়, আর যখনই লোকের মাঝে রূদ্রনীল যায়,ঠিক তখনই কোনো একটা জিনিস রূদ্রনীলের মুখে ছদ্দবে�

ে যে বানানো দাড়ি ছিলো সেটা খুলে যায়,আর তখন বীরবল্লব দেখতে পাই,তখন চোর বলে রূদ্রনীলকে খুব মারতে থাকে বীরবল্লব, বীরপ্রতাপ হ্যাতোবার ঠেখাচ্ছে আর বলছে)

বীরপ্রতাপঃ কাকা ওকে ছেড়ে দেও রূদ্রকে আমি এনেছি ছেড়ে দেও,

(বীরপ্রতাপ  দৌড়ে গিয়ে বাবার পা ধরে বলছে)

বীরপ্রতাপঃ বাবা,বাবা,কাকুকে মারতে বারন করো না হলে আমার বন্ধু মারা যাবে,বাবা,

( কোনো কথায় �

ুনছে না,তারপর বীরবল্লব রূদ্রনীলকে মেরে জমিদার বাড়ির

বাইরে ফেলে দেয়, পরিবারের সবাই দেখছে,বীরবিক্রম, বীরবল্লবের ছেলে বৌ,বীরপ্রতাপের মা,বোন,সহ অনুষ্ঠানে আসা লোকেরাও দেখছে,ওই মার খাওয়া অবস্থায় রাতে বাড়ি যায় রূদ্রনীল)

�

র্টঃ৪৩,স্থান রূদ্রনীলদের ঘর,সময় অনেক রাত,চরিত্রে চয়জন,(রূদ্রনীল,বীরপ্রতাপ,রূদ্রনীলের বাবা,রূদ্রনীলের মা,রূদ্রনীলের ঠাকুরমা, রূদ্রনীলের বোন,)

(সবাই চিন্তায় আছে হ্যাতো রাত হয়ে গেলো এখনো এলো না, সবাই অপেক্ষা করছে রূদ্রনীলের জন্য , হুট করে দরজা ঠক,ঠক করছে,তখনই তার বোন দৌড়ে গিয়ে দরজা খোলে,তখন তার বাবা মা,বোন সেই বিধবা ঠাকুমা, রূদ্রর এই অবস্থা দেখে কাদতে থাকে,খুব মেরেছে রক্তাক্ত অবস্থা)

মাঃ কেনো গিয়েছিলি তুই ওদের বাড়ি বল?

ঠাকুমাঃ আর চুপ থাকা যাবে না,সবাইকে বলে দিবো তুই

মহননীল চৌধুরীর একমাত্র নাতি- রূদ্রনীল চৌধুরী, আজ তুই জমিদার বাড়ি গিয়েছিস বলে তোকে এই ভাবে মেরেছে,আরে ওটা তোর জমিদার বাড়ি ওরা মারবার কে,আমি জানতাম এরকম কিছু একটা হবে,

তারপরপরই.......

( কিছু সময় পর বীরপ্রতাপ আসছে রূদ্রনীলের কাছে খমা চায়তে, কিন্তু ঘরের বাইরে থেকে সব �

ুনতে পাই বীরপ্রতাপ, যখন রূদ্রনীলের ঠাকুরমা এসব বলছিলো, তারপর যখন রূদ্রনীলদের ঘরে ঢুকে যায় বীরপ্রতাপ, তখন সবাই চুপ আর ভয় পেয়ে যায়,)

বীরপ্রতাপঃ আরে ভয় পাবার কোনো দরকার নেই, আমি আমার বাপ কাকার মত না,কাউকে কিছু বলব না,আমি �

ুধু আসছি আমার বন্ধুকে দেখতে, সে �

ুধু আজ আমার জন্য মার খেয়েছে তাই আমি তার কাছে খমা চাইতে আসছি,

রূদ্রনীলঃ আরে তোর খমা চাইতে হবে না,তুই কেনো খমা চাইবি খমা ত চায়বে, সে, যে আমাকে মেরেছে,

( তারপর ওই রাতে বীরপ্রতাপকে খুব যত্ন করে খাওয়ায়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় বীরপ্রতাপকে,)

কিছু সময় পর.......

�

র্টঃ৪৪,স্থান জমিদার বাড়ি বীরপ্রতাপের রুমের মধ্যে, সময় রাত,চরিত্রে একজন,(বীরপ্রতাপ)

(রাতে বীরপ্রতাপ  �

ুয়ে �

ুধু একটাই কথা ভাপতে লাগে,যে তার বাপ ঠাকুরদারা �

ুধু চৌধুরী পরিবারকেই হ্যাতো বছর ধরে খুঁজছে মারার জন্য, আর যদি জানতে পারে তার বন্ধু  সেই চৌধুরী পরিবারের তাহলে তো �

েষ,)

দুদিনপর......

�

র্টঃ৪৫,স্থান গরীব বুড়োর বিয়ে বাড়ি,সময় রাত,চরিত্রে চয়জন,সহ কিছু গুনডা,(বুড়ো,বুড়োর মেয়ে,বিমলা,বীরবল্লব,রূদ্রনীল,সহ বিয়ে বাড়ির অতিথি পুরোহিত এবং গুনডারা)

( আজ সেই বুড়োর মেয়ের বিয়ে,রাতে বিয়ে হচ্ছিলো ঠিক তখনই গাড়ি নিয়ে চলে এলো বীরবল্লব ও তার গুনডাদল,সবাই ভয় পেতে লাগে,তখন গুনডারা গাড়ি থেকে নেমে বিয়ে বন্ধ করে দিলো,এবং বীরবল্লব  বুড়োকে খুব মারতে লাগল বীরবল্লব আরো বলছে)

বীরবল্লবঃ এই বুড়ো তোকে বলেছিলাম না,সময় মত কর না দিলে �

াস্তি হবে,আজ তোকে দেখাবো �

াস্তি টা কেমন হয়,

( এই বলে বিয়ের পিড়ি থেকে বুড়োর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে আর বলছে বীরবল্লব)

বীরবল্লবঃ সকাল বেলা তোর মেয়েকে পেয়ে যাবি চিন্তা করিস না,

( যখন বীরবল্লব বুড়োর মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় তখন বুড়ো ঘুরে ঘুরে কেদে বিয়ে বাড়ির সবাইকে বলছে,সেখানে অনেক লোক ছিলো কিন্তু কেউ কোনো প্রতিবাদ করছে না,রূদ্রনীল আর বিমলাও ছিলো লোকের মধ্যে দাড়িয়ে সব দেখছে)

বুড়োঃ আমার মেয়েকে কেউ বাচাও দয়া করে কেউ বাচাও, কেউ কি নাই আমার মেয়ে কে বাচানোর,আজ যদি চৌধুরীর পরিবারের রক্ত এখানে থাকত তাহলে বীরবল্লবের মত রাক্ষসকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতো,

(এই কথা �

োনার পর রূদ্রনীল আর �

ান্ত থাকতে পারল না,যখনই গাড়ি নিয়ে চলে যাবে গাড়ি কেবল স্টাড দিয়েছে ঠিক তখনই রূদ্রনীল পিছন থেকে গাড়ি টেনে ধরেছে আর গাড়িটা যেতে পারছে না,)

বীরবল্লবঃ রূদ্র,,,,,,,,,

রূদ্রনীলঃ চোপ একদম চোপ,

বীরবল্লবঃ �

ালা আজ তোকে এমন মার মারব যে কি না তোর মাও তোকে দেখে কেপে উঠবে।

রূদ্রনীলঃ হুম,,, তোর মত কিড়ে মাকড়কে মারতে আমার দু সেকেন্ড ও লাগে না,আমি ও হায়না যে বাঘের মুখ থেকে ও খাবার ছিনিয়ে নেয়,আয় কার কত দম আছে আয় এমন কেলান কেলাবো তোদের মা বাবাও চিনতে পারবে না কে কার ছেলে,

Rate this script:0.0 / 0 votes